- Home
- India News
- ককটেল পার্টি এড়িয়ে যেতেন রতন টাটা, জানেন কি বিলাসবহুল গাড়িতে স্কুল যাওয়াও ছিল অস্বস্তির
ককটেল পার্টি এড়িয়ে যেতেন রতন টাটা, জানেন কি বিলাসবহুল গাড়িতে স্কুল যাওয়াও ছিল অস্বস্তির
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথম বিড়ম্বনা
রতন টাটাকে তাঁর ঠাকুমা চ্যাম্পিয়ন স্কুলে ভর্তি করেছিলেন। সেই স্কুলে যেতে গিয়েই তিনি প্রথম বিড়ম্বনায় পড়েন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর স্পষ্ট মনে রয়েছে তাঁকে আর তাঁর ভাইকে স্কুলে পাঠান হত ঠাকুমার বিশাল আর প্রাচীন রোলস রয়েস গাড়িতে। কিন্তু স্কুলে সহপাঠীদের কাছে সেই গাড়ির জন্যই বিব্রত হতেন তিনি। তাই পরে গাড়ি করে বাড়ি থেকে বার হলেও স্কুল থেকে অনেকটাই দূরে নামতেন। আর বাড়ি ফিরতেন হেঁটে হেঁটে। এই হাঁটা পথই ছিল তাঁর অত্যান্ত প্রিয়।
পদার্থ বিজ্ঞান ছিল প্রিয়
চ্যাম্পিয়ন স্কুল খেলাধূলার জন্য বরাবরই বিখ্যাত ছিল। স্কুল লাগোয়া একটি বিশাল ফুটবল স্টেডিয়ামও ছিল। কিন্তু স্কুল জীবনে তাঁর খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ কম ছিল। পছন্দ ছিল পদার্থবিজ্ঞান। তাঁর কথায় পদার্থ বিজ্ঞান আপনার কল্পনাকে স্পর্শ করতে পারে। তবে ক্লাস নাইনে চ্যাম্পিয় স্কুল ছেড়ে তিনি ভর্তি হয়েছিল ক্যাথেড্রাস স্কুলে।
বন্ধুত্বই প্রধান
ক্যাথিড্রাল স্কুলের কথা বলতে গিয়ে রতন টাটা বলেছেন ধনী বা দরিদ্র নয়। সেই সময় বন্ধুত্বই ছিল প্রথম আর প্রধান বিষয়ে। যদিও কলেজ জীবনে সেই বন্ধুত্ব তিনি মিস করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন। ছোটবেলা নয়। ২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রতন টাটা দেশের প্রথম সারির কয়েকজন ব্যবসায়ীর জীবনযাত্রার মান নিয়ে হাতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছেন দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতির অভাব নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন।
কথা বলতে ভয়
রতন টাটা- দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি। কিন্তু তিনি নাকি জনসমক্ষে কথা বলতে ভয় পান। তিনি জানিয়েছেন এই রহস্যের সমধান তিনি এখনও করতে পারেননি, স্কুলে বক্তৃতা দেওয়া বা বিতর্ক অংশ নেননি। তবে তিনি নাকি এখনও ক্যাথিড্রালের সংস্কৃতি মিশ করেন।
ককটেলে পার্টিতে অনীহা
সাংবাদিক ড্যামিয়েন হুইটওয়ার্থ লিখেছেন এটি পার্টিতে ঢালাও মাদকের ব্যবস্থা ছিল। সেই পার্টিতে প্রথম দিকে উপস্থিত ছিলেন রতন টাটা। কিন্তু পরর্তীকালে পার্টি থেকে উধাও হয়ে যান। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, তিনি একজন বিচ্ছিন্ন মানুষ। ককটেল পার্টিতে তিনি সজহ হতে পারেন না।
অন্য রতন টাটা
রতন টাটা নিজেই গাড়ি চালন। শিল্পপতি হয়েও তিনি নিজে চুল কাটার পর নাপিতকে প্রয়োজনীয় টাকা নিজে হাতেই তুলে দেন। রতন টাটা পেশাদার ম্যানেজারের মতই জীবন যাপন করেন।
আমেরিকার ১০ বছর
আমেরিকার ১০ বছরই তাঁকে মিতব্যায়ী হতে শিখিয়েছে। তিনি বাসন ধোয়া থেকে শুরু করে সব কাজই নিজে হাতে করতে পারেন। আমেরিকার সেই দিনগুলি আরও মনে রেখেছেন তিনি।
. অবসর জীবন
গত কয়েক বছর টাটা গোষ্ঠী থেকে অবসর নেওয়ার পরে তাজমহল প্যাসেল হোটেল থেকে কিছুটা দূরে একটি বিলাশবহুল ফ্ল্যাটে রয়েছেন তিনি। তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী টিকো আর ট্যাঙ্গোর। ছোট্ট বাগান রয়েছে। আর রয়েছে প্রচুর বই। মোটের ওপর বাড়িটি মোটেও দেশের বড় সংস্থার প্রধানের মত বাড়ি নয়।
মূল্যবোধ
রতন টাটা জীবনভর প্রমাণ করেছিলেন জামসেদজি টাটা আর তাঁর বাবার দেওয়া মূল্যবোধ তিনি সযত্নে লালন করেছেন। তিনি বলেছিলেন কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা ব্যবসায়ীক সাফল্যের ওপর সবকিছু নির্ভর করে না। এটি সাফল্যের অপরিহার্য চালক।
বইতে রয়েছে
পিটার ক্যাসির দ্যা স্টোরি অব রতন টাটা:১৮৬৮-২০২১ -এই বইতে টাটা গ্রুপের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবথেকে ব়় টিব্যাগ টেটলি কিনে নেওয়ার কথা। আর টাটা এয়ারলাইন্স যা পরবর্তীকালে ভারত সরকার নিতে নিয়ে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স নামকরণ করেছিল তারই একটি অনুষ্ঠানের বর্ণনাও।