- Home
- India News
- জালিয়াতদের থেকে রেহাই মিললো না ভগবান রামেরও, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের আগেই ট্রাস্ট থেকে গায়েব লাখ-লাখ টাকা
জালিয়াতদের থেকে রেহাই মিললো না ভগবান রামেরও, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের আগেই ট্রাস্ট থেকে গায়েব লাখ-লাখ টাকা
- FB
- TW
- Linkdin
রামের ঘরে এবার চুরির ঘটনা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে অযোধ্যা জুড়ে।
গত ৫ আগস্ট মহা ধূমধামের সঙ্গে অযোধ্যায় সম্পন্ন হয়েছিল রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। ওই ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে স্বয়ং অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শোনা যাচ্ছিল পিতৃপক্ষ শেষ হচ্ছে ১৭ সেপ্টেম্ব, তারপরেই অযোধ্যাতে শুরু হবে রাম মন্দিরের কাজ।
আর এর মাঝেই এল এক চাঞ্চল্যকর খবর। ক্লোনড চেক দিয়ে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট থেকে ছ'লাখ টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াতরা।এই ট্রাস্ট রাম মন্দির তৈরির অনুদানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
অযোধ্যার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) দীপক কুমার জানিয়েছেন, দু'দফায় ক্লোন চেক ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথবার ২.৫ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। পরেরবার ৩.৫ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতরা। ওই অর্থ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে গত বুধবার ব্যাঙ্কের থেকে একটি ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত ফোন পান ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাই। সেই সময় ৯.৮৬ লাখ টাকার ক্লোন চেক জমা করা হয়েছিল। তারপরই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, দুটি ক্লোন চেক ব্যবহার করে গত ১ এবং ৩ সেপ্টেম্বর টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আসল ও ক্লোন চেকের নম্বরের সিরিয়াল নম্বর একই বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। ক্লোন চেকে ট্রাস্টের সচিব ও অন্যান্য সদস্যদেরও জাল সই ছিল।
রাম মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পট রাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয়ের প্রতারকের বিরুদ্ধে এফ আইআর দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। পাশাপাশি আসল চেকের নম্বর ফাঁস হওয়ায় ব্যাঙ্কের ভিতরের কেউ জড়িত আছে বলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
লখনউয়ের দুটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেছিল ট্রাস্ট। দেশ-বিদেশের অগণিত রামভক্তের কাছে মন্দির নির্মাণের জন্য মুক্ত হস্তে দানের আবেদন করেছিল রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। ভক্তদের অনুদান জমা পড়াও শুরু হয়েছে।
দিনকয়েক আগেই রাম মন্দিরের নকশা প্রকাশ্যে আনা হয়। এরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এর প্রধান জানিয়েছিলেন, উচ্চতায় রাম মন্দির হবে ১৬১ ফিট এবং তাতে পাঁচটি গম্বুজ থাকবে। রাম মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে আগে ২১২ টি পিলার থাকার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত পালটে যায়। নতুন হিসেবে মন্দিরে পিলার থাকবে ৩৬০ টি। একইভাবে আগে মন্দিরটি উচ্চতায় ১৪১ ফিটের হওয়ার কথা থাকলেও পরে ঠিক হয় মন্দির হবে ১৬১ ফিটের। শুধু তাই নয়, মন্দির নির্মাণে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।