বর্ষার পর শীতেও আসবে আরও বড় বিপদ, আইআইটি-এইমসের গবেষণায় ঘনালো আশঙ্কার কালো মেঘ
দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনউ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ছে। সেই ধারা অব্যাহত থাকল সোমবারও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা এবার দেশে ৪০ হাজার পা করে গেল। ভারতে ইতিমধ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই আরও আশঙ্কার খর শোনালেন আইআইটি-এআইআইএমএসের বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রবল বর্ষা ও কনকনে শীতে মারাত্মক আকার নেবে দেশের কোভিড পরিস্থিতি।
- FB
- TW
- Linkdin
দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। গোষ্ঠী সংক্রমণও শুরু হয়েছে বলে অনেকেই দাবি করেছেন। এমন পরিস্থিতি নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন ভুবনেশ্বর আইআইটি ও এইমসেরর গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে প্রবল বর্ষা ও কনকনে শীতে এই প্রকোপ বাড়বে।
বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যৌথভাবে এই সমীক্ষা চালান হয়েছিল। সমীক্ষায় যোগ দেওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্ষা এবং বর্ষা উত্তর সময়ে শীতকালে অতিমারী আটকানো এক মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে দেশের কাছে। কারণ সংক্রমণ আরও ভয়ানক আকার নেবে।
সমীক্ষাটিতে সামগ্রিকভাবে নেতৃত্ব দেন আইআইটি-ভুবনেশ্বরের স্কুল অফ আর্থ, ওশন অ্যান্ড ক্ল্যাইম্যাটিক সায়েন্সেস –এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ভি ভিনোজ। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশের ২৮টি রাজ্যে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার হার, গতি-প্রকৃতি, কেমন পরিবেশে তা ছড়িয়েছে , আর্দ্রতা, জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি, সূর্যের বিকিরণ এবং আলাদা আলাদা তাপমাত্রায় সংক্রমণ ছড়ানোর হার কেমন হচ্ছে ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে বলেই দাবি করা হয়েছে এই গবেষণায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রার পারদ যত কমে ততই বাড়ে সংক্রমণ। গবেষণা বলছে, এক ডিগ্রি উষ্ণতা বাড়লে সংক্রমণের হার ০.৯৯ শতাংশ কমতে পারে। এবং সংক্রমণ ছড়াতে সময় লেগেছে ১.১৩ দিন।
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে একই রকম সম্পর্ক আছে আর্দ্রতারও। ফলে বর্ষার সময় আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা কম থাকায় সংক্রমণের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কাজেই বর্ষা কাটলেও আরেক বিপদ এগিয়ে আসছে ভারতের। বর্ষা কমলেই উত্তর ভারতে শীত পড়তে শুরু হরবে। সেসময় করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
তবে গবেষকরা এও জানিয়েছেন, এই সমীক্ষা চূড়ান্ত আর্দ্রতার সময় অর্থাৎ বর্ষার শুরু থেকে শীত পড়ার মধ্যে যেহেতু করা হয়নি, তাই আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ এখনও লাগবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে।
গবেষণায় সোলার রেডিয়েশনের প্রভাবকেও খতিয়ে দেখা হয়েছে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেক্রে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে পৃথিবীর বুকে যত বেশি সোলার রেডিয়েশন এসে পড়েছে তত কমেছে সংক্রমণের সংখ্যা এবং বেড়েছে সংক্রমণ ছড়ানোর সময়।