করোনা-কালেই নষ্ট ৬.৫ শতাংশ টিকা,জেনে নিন কী কারণে অপচয় হচ্ছে মহামারির ভ্যাকসিন
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ আছড়ছে পরতে পারে। দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে সতর্ক করতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর সেখানেই তিনি করোনাভাইরাসের টিকা অপচায় না করতে নির্দেশ দেন। ভারতে গড়ে ৬.৫ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়। শীর্ষ রয়েছে তেলাঙ্গনা, অন্ধ্র প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশ।
- FB
- TW
- Linkdin
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক বৈঠক করেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেই করোনা-টিকা অপচয় না করতে আবেদন জানান রাজ্যগুলির কাছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই দেশে গড়ে ভ্যাকসিন অপচয়ের পরিমাণ ৬.৫ শতাংশ। শীর্ষে রয়েছে তেলাঙ্গনা, অন্ধ্র প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ভ্য়াকসিন অপচয় হোল যে কোনও ডোজ ফেলে দেওয়া, হারিয়ে যাওয়া, গুণগত মানের ক্ষতি হওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া।
কোভিড টিকা নষ্ট করার অন্যতম কারণ হল টিকা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করা। স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে এই ডোজগুলি খুব সময় সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকে। আর মানুষ যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম টিকা নেন তাতে ডোজটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের তুলনায় বেশি। কারণ কোভ্যাকসিনের একটি শিশি খুললে একসঙ্গে ২০ জনকে টিকা দিতে হবে।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে আগামী দিনে তারা শিশির আয়োতন কমিয়ে দেবে। তাতে একটি শিশিতে ১০ জনকে টিকা দেওয়া যায় এমন ব্যবস্থা করবে।
শিশিগুলি অত্যাধিক তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে বা অত্যাধিক ঠান্ডা হয়ে গেলে নষ্ট হয়ে যায়।