ওজন মেপে প্রয়োজন বুঝে মিলবে খাবার, জিনপিং-এর নির্দেশে চিনা রেস্তোরাঁয় তুঘলকি নীতি
কোনওভাবেই খাবার নষ্ট করা যাবে না। সম্প্রতি চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং খাদ্য নষ্টের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন। এই সম্পর্কে একটি জাতীয় নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে। আর সরকারি সেই নীতির চাপেই চিনের এক রেস্তোঁরা খাবার নষ্ট হওয়া আটকাতে এক অদ্ভূত উপায় নিয়েছিল। যার জেরে তাদের এখন তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারির জেরে চিনা অর্থনীতি এখন ধীরে ধীরে থমকে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চিনের বিভিন্ন প্রদেশে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এই দুই বিপর্যয়ের জেরে সেই দেশে এখন খাদ্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া। আর তাই খোদ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মানুষকে খাদ্য অপচয় না করার বিষয়ে কড়া সতর্ক করেছেন।
এই বিষয়ে 'অপারেশন ক্লিন প্লেট' নামে একটি জাতীয় নীতি গ্রহণ করেছে জিনপিং প্রশাসন। কি এই নীতি? পরিষ্কার কথায় রেস্তোঁরায় খেতে এলে প্লেট একেবারে পরিষ্কার করে খেতে হবে। খানিক খেয়ে পেট ভরে গিয়েছে বলে ফেলে দেওয়া যাবে না। আবার রেস্তোরাঁগুলিকেও প্রথমেই গ্রাহকদের প্লেটে থাকা খাদ্যের পরিমাণ পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে হবে। প্লেট খালি না হলে দুই পক্ষই শাস্তি পেতে পারে।
এর জন্য অনেক রেস্তোঁরাই তাদের পরিচলনে নানা পরিবর্তন এনেছে। ভারতে যেমন এক প্লেট নিয়ে ভাগাভাগি করে খাওয়ার রীতি রয়েছে, চিনে তেমনটা নয়। আগে একটি টেবিলে যতজন বসতেন, ততজনেরই খাওয়ার দেওয়া হত। এখন, টেবিলের মোট লোকদের সংখ্যার চেয়ে একটি প্লেট কম খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
কিন্তু, মধ্য চিনের হুনান প্রদেশের চাংশায় শহরে অবস্থিত একটি রেস্তোঁরা জিনপিং-এর নীতি মানতে গিয়ে বেশ বা়ড়াবাড়ি করে ফেলেছে। জানা গিয়েছে তাদের সাম্প্রতিক নীতি অনুযায়ী রেস্তোরাঁয় আসা গ্রাহকদের প্রথমেই একটি যন্ত্রে ওজন মাপাতে হবে। সেই ওজন রেস্তোরাঁর মোবাইল অ্যাপে দিলে, সেই অ্যাপই ক্যালোরি মানের উপর ভিত্তি করে তিনি কী কী খেতে পারবেন তার তালিকা তৈরি করে দেবে। তারমধ্যে থেকেই বাছতে হবে খাবার। চাইলেও তার বাইরে থাকা কোনও খাবার তাকে দেওয়া হবে না।
রেস্তোরাঁটির এই নীতি অবশ্য চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত রেস্তোঁরাটি ১৫ অগাস্ট অনলাইনে এই বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারা বলেছে, সরকারের খাদ্য নষ্ট বিরোধী প্রচারকে তারা যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে তা ঠিক হয়নি।