- Home
- India News
- ইমরানের চালকে বানচাল করল ভারত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মেডিক্যাল ডিগ্রিকে মান্যতাই দিল না এমসিআই
ইমরানের চালকে বানচাল করল ভারত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মেডিক্যাল ডিগ্রিকে মান্যতাই দিল না এমসিআই
নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। তাতে বলা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও লাদাখের কোনও সংস্থা থেকে ডাক্তারি পাশ করে ভারতে চিকিৎসা করা যাবে না। গত ১০ আগস্ট সার্কুলার জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কাউন্সিল। তাতে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের যে অংশ পাকিস্তান জবরদখল করে রেখেছে সেখানকার মেডিক্যাল কলেজের ডিগ্রি ভারতে কাজে লাগানো যাবে না। ওই ডিগ্রি নিয়ে ভারতের কোথাও প্র্যাক্টিসও করা যাবে না।
- FB
- TW
- Linkdin
আধুনিক চিকিত্সার সঙ্গে সামঞ্জস্য না-থাকায়, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মেডিক্যাল কলেজগুলির ডাক্তারি ডিগ্রিকে বৈধতা দেবে না মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় চিকিত্সা শিক্ষা নিয়ামক সংস্থা, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া -র তরফে এক নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ-এর মেডিক্যাল কলেজগুলি থেকে পাশ করে ভারতে ডাক্তারি করা যাবে না। মেডিসিনে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও ডিগ্রিই ভারতে গ্রাহ্য হবে না।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, দেশে কোনও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করতে গেলে ১৯৫৬ সালের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাক্ট মেনে আগাম অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও মেডিক্যাল কলেজকেই এমন অনুমোদন দেওয়া নেই। সেই কারণেই সেখানকার পড়ুয়াদের মেডিক্যাল প্র্যাক্টিসের অনুমতি দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কলেজ থেকে পাশ করা এক পড়ুয়া জম্মু-কাশ্মীর মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করে। সেই পড়ুয়ার নথি যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, যে কলেজ থেকে তিনি পাশ করেছেন সেটি স্বীকৃত মেডিক্যাল কলেজ নয়। এর পরেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল এই সার্কুলার জারি করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওই কর্তা আরও জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনাও হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে।
কাউন্সিলের পক্ষে সাধারণ সচিব আর কে বৎস সার্কুলারে জানিয়েছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু এই দুই অঞ্চলের কিছু এলাকা গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। আর সেইসব এলাকার কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছেই মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুসারে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই। সুতরাং, সেখান থেকে পাশ করলে আইন মোতাবেক কেউ ভারতে মডার্ন মেডিসিনের প্র্যাক্টিস করতে পারবে না।
বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাশ করে ভারতে রোগী দেখছেন বহু চিকিত্সক। ভারতের বহু ছাত্র প্রতি বছর চিন, বাংলাদেশ, নেপাল, রাশিয়া-সহ অন্যান্য দেশ থেকে ডাক্তারি পড়ে ফিরছেন। সেখানে থেকে এমবিবিএস করে এলে, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার পরীক্ষায় পাশ করলেই ভারতে চিকিত্সা করার অনুমতি পান পড়ুয়ারা। সেক্ষেত্রে এখন থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ব্যতিক্রম হিসেবেই গণ্য হবে। এমসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে যাঁরা ডাক্তারি পড়ে ফিরেছেন, তাঁদের ভবিষ্যত্ এখন অনিশ্চিত। ভারতে তাঁর প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।
কাশ্মীরের ১৬০০ পড়ুয়াকে প্রতি বছর স্কলারশিপ দেওয়ার যে কৌশলগত সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার নিয়েছে, তার পালটা হিসেবেই ভারতের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ১৬০০ কাশ্মীরি পড়ুয়াকে প্রতি বছর স্কলারশিপ দেওয়ার ঘোষণা করে ইমরান খান সরকার৷ পাকিস্তানের এই ঘোষণার পরই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করে দেয় বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি৷ এর পিছনে আসলে যে কাশ্মীরি যুবসমাজের মগজ ধোলাইয়ের ছক কষছে পাকিস্তান, তা জানানো হয় কেন্দ্রকে৷
সাধারণত পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সুপারিশেই পাকিস্তানে গিয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ পায় কাশ্মীরি পড়ুয়ারা৷ অতীতে এমন একাধিক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে বৈধ উপায়ে ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে পড়তে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জঙ্গি হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে৷
পাকিস্তানের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে পাশ করে আসা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও এবার এদেশে কঠোর অবস্থান নেওয়ার দাবি উঠছে।