- Home
- India News
- ভারতের করোনা সংকটের সময়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েও লাদাখে শক্তিবৃদ্ধি, সামনে এল চিনের দ্বিচারিতা
ভারতের করোনা সংকটের সময়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েও লাদাখে শক্তিবৃদ্ধি, সামনে এল চিনের দ্বিচারিতা
আবারও লাদাখে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন। ভারত যখন করোনাভাইরাসের সংক্রামণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন প্রতিবেশী দেশ হিসেবে কোনও রকম সহমর্মিতা না দেখিয়ে লাদাকে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় ভরত সেনা বাহিনীকে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করেছে। কিন্তু লাদাখের ঘটনা নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা কর্তাদের।
- FB
- TW
- Linkdin
চিন পূর্ব লাদাখের বেশ কয়েকটি এলাকায় শক্তি বাড়াচ্ছে। শীতকালেই ওই এলাকা থেকে চিন সেনা সরিয়ে নিয়েছিল। সেনা সূত্রের খবর শীতকালে ওই এলাকায় চিন স্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছিল। সেইসব এলাকাগুলি আবারও শক্তিশালী বাড়াচ্ছে চিন।
ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগং তসো সেক্টর থেকে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কংসিশিয়ারের ঠিক উত্তর কাঙ্গসিওওয়ারের মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় শক্তিবাড়াচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।
এক দিকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ভারতের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সংকটে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। মহামারি মোকাবিলায় ভারতেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়ার কথাও বলেছে। চিনা শীর্ষ কর্তারা একাধিকবার কথা বলেছেন ভারতের সঙ্গে। কিন্তু তারপরেই সামনে এসেছে লাদাখে চিনা অগ্রাসনের ছবি।
বর্তমানে ভারত করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় যুদ্ধ নেমেছে। আর সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে কথা বলেছেন। দফায় দফায় বৈঠক তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও।
বর্তমানে ভারত করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় যুদ্ধ নেমেছে। আর সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে কথা বলেছেন। দফায় দফায় বৈঠক তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাংসিশিয়ার ও রুডোকে প্রায় ১০ হাজার করে স্থায়ী চিনা সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা চলছে। আগে সেনা সরিয়ে নেওয়া হলেও বর্তমানে সেখানে চিনা সেনা যে দীর্ঘদিনের জন্য সেখানে অবস্থানের পরিকল্পনা নিয়ে তা স্পষ্ট হচ্ছে বলেও গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
তবে এখনও চিনা সেনাদের মধ্যে উত্তর লাদাখর দেপসাং ও দৌতল বেগ ওল্ডি এলাকায় শক্তি বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা চোখে পড়েনি ।
সূত্রের খবর লাদাখ সীমান্তের যেসব এলাকায় ভারত ও চিনার মধ্যে সংঘর্ষ স্থান হিসেবে চিহ্নিত সেইসব এলাকায় নজর দিচ্ছে চিন।