ভারতই হতে পারে বিশ্বের দ্রুততম আর্থনৈতিক বিকাশের দেশ, দাবি প্যারিসের সংস্থার সমীক্ষায়
First Published Mar 10, 2021, 5:23 PM IST
২০২১ সালে ভারতীয় অর্থনীতির প্রাণ ফিরে আসবে। একটি অর্থনৈতির সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া আর্থবর্ষে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ১২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করা হয়েছে।

চলতি বছরেই প্রাণ ফিরে পাবে ভারতের অর্থনীতি। ইকোনামিক কর্পোরেশন ও ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন সংস্থার প্রকাশিত পূর্বাবে বলা হয়েছে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া অর্থবর্ষে দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ১২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

যদি এই স্তরে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকে তাহলে ভারত দ্রুততার সঙ্গে হারিয়া যাওয়া মর্যাদা পুণরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে। চিনকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২০ সালে মন্দার পর বর্তমানে ভারতের আর্থিক গ্রোত ৭.৮ শতাংশ।

২০২০ সালের চূড়ান্ত তিন মাস ভারতের অর্থনীতি মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি প্রা. ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল।

ওইসিডি মঙ্গলবার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন প্রদান ও ভ্যাকসিন নিয়ে অতিরিক্ত উদ্দীপনার জন্য আর্থনৈতিক সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্যারিসের সংস্থাটির দাবি বর্তমান ভারতেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিও আর্থনৈতিক বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি জনস্বাস্থ্য ও ব্যবস্থগুলি ও আয়ের সহায়তার জন্য আরও সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্যবস্তু প্রতিফলিত করতে পারে। ব্যবসীয় ও গ্রাহকরা নতুন বিধিনিষেধের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিচ্ছে।

ওইসিডি আশা প্রকাশ করেছে ২০২১ সালে বিশ্ব অর্থনীতির হার ৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে এক শতাংশেরও বেশি বাড়তে পারে। মার্কিন অর্থনীতির হার বৃদ্ধি পাবে ৬.৫ শতাংশ। ইউরোপের যে ১৯টি দেশ ইউরো ব্যবহার করা তাদের আউটপুট ৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিনের প্রভাব অর্থনৈতিক স্থিতি ফেরাতে পারবে।

সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আর্থনীতি ও চাকরির বাজার এখও দুর্বল। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিকে অর্থনৈতিত অবস্থা চাঙ্গা রাখার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে মহামারির কারণে চিন থেকে সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে। তাই খাবারও ধাতব সামগ্রীর দাম বাড়ছে। তেলের দাম ২০১৯ সালের কাছাকাছি চলে এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে বাজারগুলিকে দায়ি তরা হয়েছে।