- Home
- India News
- ভারতীয় সেনার দাপটে আরও চাপে চিন ও পাকিস্তান, রাফালের পর এবার হাতে আসছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রোমিও
ভারতীয় সেনার দাপটে আরও চাপে চিন ও পাকিস্তান, রাফালের পর এবার হাতে আসছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রোমিও
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত সপ্তাহেই এদেশে আগমন হয়েছে ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফালের। বলার অপেক্ষা রাখে না এই বিধ্বংসী যুদ্ধ বিমান আসার ফলে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। যা দেখে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানি সেনা ও চিনের লাল ফৌজের। তবে এখানেই থেকে থাকছে না ভারতীয় সেনার শক্তিবৃদ্ধি। এবার শক্তিবৃদ্ধ পেতে চলেছে নৌসেনার। সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজকে আকাশ থেকে চিহ্নিত করতে ভারত হাতে পেতে চলেছে মার্কিন সেনার অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার রোমিও।
- FB
- TW
- Linkdin
চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিস্থিতিতে গত বুধবার ৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভারত পৌঁছেছে। রাফাল যুদ্ধ বিমানের আগমনে ভারতীয় বায়ু সেনার শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখন ভারতীয় নৌবাহিনী অপেক্ষা করছে এমএইচ -৬০-রোমিও হেলিকপ্টারেক জন্য। যা নিঃসন্দেহে নৌবাহিনীর শক্তি বাড়িয়ে তুলবে।
দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা এই হেলিকপ্টারটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
চলতি বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে আসার পর দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে স্থির হয় ওয়াশিংটনের থেকে ২৪টি এমএইচ ৬০আর (রোমিও) এবং ৬টি এএইচ ৬৪ই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কিনবে নয়াদিল্লি। এরমধ্যে রোমিও (হেলিকপ্টার নৌসেনা এবং অ্যাপাচে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি করা ২৪টি রোমিও হেলিকপ্টার কিনতে ভারত সরকার ২৬০ কোটি ডলার খরচ করছে।
রোমিও কপ্টারের মাধ্যমে নৌবাহিনীর শক্তি কয়েক গুণ বৃদ্ধি হবে নিঃসন্দেহে। এই হেলিকপ্টারগুলি হাতে আসলে রাতেও নৌবাহিনী অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। এই হেলিকপ্টারটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি কেবলমাত্র সমুদ্রে থাকা জাহাজ না, জলের তলার সাবমেরিনকেও নিশানা করতে পারে।
এই হেলিকপ্টারটি ক্ষেপণাস্ত্র, টর্পেডো এবং সেন্সর প্রযুক্তিতে সজ্জিত। মার্কিন নৌবাহিনীও এটিকে ব্যবহার করে। এই হেলিকপ্টারটিতে এজিএম -144 হেলফায়ার অ্যান্ডি সারফেস মিসাইল, সাবমেরিনকে আক্রমণের জন্য এমকে ৫০ টর্পেডো এবং ৭.৬২ এমএন মেশিনগান রয়েছে ।
নৌ-প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, মাল্টি-রোল এই হেলিকপ্টারের একইসঙ্গে সমুদ্রে নজরদারি ও হামলা চালাতে সক্ষম। জলের তলার সাবমেরিনের গন্ধ পেতে র্যাডার ও সেনসর ব্যবহার করবে রোমিও হেলিকপ্টার।
দু’জন পাইলট নিয়ে এই হেলিকপ্টারটি রাতের অন্ধকারেও টার্গেটে হামলা চালাতে পারে। এতে ১০ জন সেনার বসার ব্যবস্থাও থাকবে।
শত্রু সাবমেরিনকে নিশানা করতে এর রয়েছে এমকে ৫৪ টর্পেডো । ভারত মহাসাগরে চিন বা যে কারও সঙ্গে টক্কর দিতে অত্যন্ত জরুরি এই হেলিকপ্টার। প্রসঙ্গত, একই উদ্দেশ্যে চিন ইতিমধ্যেই জেড-২০ হেলিকপ্টার তৈরি করেছে।
ইতিমধ্যেই অ্য়াপাচে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এবার সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।