করোনা সংক্রমণ রুখতে এন ৯৫ মাস্কে ভরসা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের, বললেন মাস্ক কতটা জরুরি
- FB
- TW
- Linkdin
ফিজিক্স অ্যান্ড ফ্লুইড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রে ভারতের দুই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন য়ে এন ৯৫ব মাস্ক কাশির অনুভূমিক বিস্তার সবথেকে বেশি কমাতে পারে।
সাধারণ মাস্কের তুলনায় এন ৯৫ মাস্ক কাশির ফলে নাক মুখ থেকে বার হওয়া জীবাণু ১০ গুণ কম ছড়াতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এন ৯৫মাস্ক জীবাণুর বিস্তারকে ০.১-০.২৫ মিটারের মধ্যে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়।
মাস্ক না পরা অবস্থায় কোনও মানুষ যদি কাসেন তাহলে জীবাণু ৩ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণ মাস্ক জীবাণুর বিস্তার ০.৫ মিটার পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
তবে দুই বিজ্ঞানী বলেছেন যে সংক্রমণ রুখতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাও অত্যন্ত জরুরি।
কোনও ব্যক্তি যদি জীবাণু বিস্তার কমাতে পারেন তাহলে তা তার পাশের মানুষের পক্ষেই খুবই স্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তা পরিবেশ দূষণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।
ঘণত্ব আর তাপমাত্রা দুটি বিষয় পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। আর একটি মানুষের কাশি আসার সঙ্গেও এই বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি মানুষের চারদিকের পরিবেশ অস্বস্তিকর ও গরম হয়ে গেলেও কাশি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন রাও ও সিমহা দুই বিশেষজ্ঞই ।
বিজ্ঞানীরা পাঁচটি বিষয় অনুসদ্ধান করার জন্য ইচ্ছুক মানুষদের কাশির ছবি সংগ্রহ করেছিলেন। আর সেখানে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘণত্বের পরিবর্তণও চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
একের পর এক ছবিতে কাশির গতি, জীবাণু ছড়িয়ে পড়া স্থান ও কী ভাবে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে তাও নির্ধারণ করতে চেয়েছেন তাঁরা।
গবেষকদের মতে কাশি এলে হাত বা কনুই দিয়ে মুখ আড়াল করার যে প্রচলিত ধারনা রয়েছে তা করোনাসংক্রমণ রুখতে খুব একটা কার্যকর নয় বলেই জানান হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে খালি মুখে থাকার থেকে যে কোনও ধরনের মাস্কের ব্যবহার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।