- Home
- India News
- বছর শেষেই আসতে চলেছে ভারতের তৈরি করোনার টিকা 'কোভ্যাক্সিন', আশার খবর শোনালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বছর শেষেই আসতে চলেছে ভারতের তৈরি করোনার টিকা 'কোভ্যাক্সিন', আশার খবর শোনালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- FB
- TW
- Linkdin
ক্রমই উর্দ্ধমুখী দেশে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। বৃহস্পতিবার রেকর্ড গড়ে ভারতে সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ৬৯ লক্ষের বেশি মানুষ। শুক্রবারও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হন না। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৯৮ জন। ফলে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ লক্ষ ৫ হাজার ৮২৪।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে চলতি অগস্টের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে করোনা পজিটিভ কেস ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে।মাস শেষ হতে আরও ৯ দিন বাকি রয়েছে। রোজ যে গতিতে পজিটিভ কেস বাড়ছে, তাতে আগস্টের শেষে সংখ্যাটা ১৭ লক্ষে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার আগেই সরকারের তরফে ‘এমারজেন্সি অ্যাপ্রুভাল’ দেওয়া হতে পারে বলে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে। বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এখনও সব প্রশ্নের সমাধান হয়নি এমন ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
যে ভাবে দেশের সর্বত্র কোভিড-১৯ মহামারী বাড়ছে এবং ভারত বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনে স্বীকৃতি দেওয়া দরকার বলেই মনে করা হচ্ছে। আইসিএমআর-এর প্রধান বলরাম ভার্গব সম্প্রতি সাংসদদের সঙ্গে একটি বৈঠকে জরুরি স্বীকৃতির ভাবনার কথা জানিয়েছেন। এমনটাও জানা গিয়েছে যে, দেশেই তৈরি এবং উৎপাদিত কোনও ভ্যাকসিনকেই জরুরি স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত ভারতে দু’টি ভ্যাকসিন গবেষণার মাঝ পথে রয়েছে। কোভ্যাক্সিন ও জাইকভ-ডি নিয়ে গবেষণা অনেকটাই এগিয়েছে। সম্প্রতি দেশে আরও একটি ভ্যাকসিনের গবেষণায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেলেও তার বিস্তারিত কিছু প্রকাশ্যে আসেনি।
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং জাইডাস ক্যাডিলার জাইকভ-ডি ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। জুলাই মাসেই শুরু হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিনকে 'নিরাপদ' সার্টিফিকেট দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সম্পূর্ণ ফল এখনও আসেনি। সেপ্টেম্বরেই শুরু হচ্ছে এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।
তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রাথমিক তথ্যই যথেষ্ট আশা জাগাচ্ছে। কারণ ভলান্টিয়ারদের কারও শরীরেই এখনও কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। অর্থাৎ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি তাঁদের শরীরে। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত এই কোভ্যাক্সিনকে নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলিত বছরের শেষেই ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে বলে আশার খবর শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
সম্প্রতি সবর্ভারতীয় এই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হর্ষবর্ধন বলেন, ভারতে কোরনা ভ্যাকসিনের যে ট্রায়াল চলছে তা থেকে চলতি বছরের শেষেই সুখবর আসতে পারে। আশানরূপ ফল হলে আগামী বছরের প্রথমেই তা ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ হতে পারে।
পাশাপাশি অক্সফোর্ডের বানানো টিকা নিয়ে ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছ থেকে জরুরি অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে পুণের সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটও। অক্সফোর্ডের ভেক্টর ভ্যাকসিনের ফর্মুলায় তৈরি তাদের কোভিশিল্ড টিকার তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে দেশে। এই ট্রায়ালের রিপোর্ট ইতিবাচক হলেই চলতি বছরের শেষেই কোভিশিল্ড চলে আসবে ভারতের বাজারে।
এদিকে রাশিয়াও তাদের প্রথম করোনা ভ্যাকসি স্পুটনিক ভি তৈরির জন্য ভারতের সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ভারতকে নিজেদের ‘প্রোডাকশন পার্টনার’ হিসেবে চাইছে রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দিমিত্রেভ। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে মস্কো।