- Home
- India News
- গলার স্বর শুনেই ধরবে করোনা, তাক লাগানো সব প্রযুক্তি নিয়ে ভারতে আসছেন ইসরাইলি বিজ্ঞানীরা
গলার স্বর শুনেই ধরবে করোনা, তাক লাগানো সব প্রযুক্তি নিয়ে ভারতে আসছেন ইসরাইলি বিজ্ঞানীরা
চলতি সপ্তাহান্তেই ভারতে আসছেন ইসারাইলি বিজ্ঞানীদের একটি বিশেষ বিমান। সার্স-কোভ -২ অর্থাৎ নতুন করোনাভাইরাস-এর প্যাথোজেনের উপস্থিতি সনাক্ত করার চারটি যুগোপযোগী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-র চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য তাঁরা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সহায়তা চান। এর মধ্যে দুটি কোভিড-১৯ পরীক্ষা লালারসের নমুনা থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে ফলাফল দিতে পারে। আর তৃতীয় পরীক্ষাটি কেউ কোভিড আক্রান্তত কিনা তা বলতে পারে তার কণ্ঠস্বর শুনে এবং চতুর্থটি শ্বাসপ্রশ্বাসের নমুনায় রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে।
| Published : Jul 24 2020, 03:33 PM IST / Updated: Aug 06 2020, 01:16 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
)
প্রথম পরীক্ষাটিতে পলিঅ্যামিনো অ্যাসিড ব্যবহার করে সম্ভাব্য রোগীর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ মিনিটের মধ্যে বলে দিতে পারে তিনি কোভিড আক্রান্ত কি না। ইসরাইলি বিজ্ঞানীদের দাবি, এর ফলে বিমানবন্দর, শপিং মল বা অন্য কোনও জনসমাগমের জায়গায় প্রবেশ করার সময়ই কারোর কোভিড পরীক্ষা করে যেতে পারে। এই রিয়েল-টাইম টেস্টিং প্রক্রিয়া সফল হলে অর্থনীতি চালু রাখতে কোনও বাধা থাকবে না।
)
দ্বিতীয়, পদ্ধতিটি একেবারে সস্তা জৈবরাসায়নিক ব্যবহার করে পরীক্ষা। যা যে কোনও সময় বাড়িতেই করা যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদেরষ এই ক্ষেত্রেও লাগবে লালারসের নমুনা এবং ফলাফল জানা যাবে ৩০ মিনিটেই।
)
তৃতীয় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। কোভিড প্রাথমিকভাবে মানুষের শ্বাসণতন্ত্রে হামলা করে বলে, কোভিড আক্রান্তদের গলার স্বরে সামান্য পরিবর্তন আসে। মানুষ বুঝতে না পারলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ধরা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির কন্ঠস্বর শুনে এইআই নির্ধারণ করবে তার শ্বসনতন্ত্রে করোনা প্রবেশ করেছে কি করেনি। এমনকী সেলফোনের মাধ্যমেও এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা যাবে।
)
চতুর্থ পদ্ধতিটি নির্ভর করছে শ্বাস-প্রশ্বাস বিশ্লেষণের উপর। একটি নলের মধ্যে দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেোয়ার ফলে যেভাবে কোনও ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় আছে কিনা তা বোঝা যায়, এই ক্ষেত্রেও সেভাবেই ধরা পড়বে করোনা আক্রান্ত। সম্ভাব্য রোগী ওই নলের মধ্য দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পর নলটি একটি যন্ত্রে সংযুক্ত করলে, সেই যন্ত্র টেরাহার্টজ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এবং একটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করে বলে দেবে ওই ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রে করোনাভাইরাস আছে কি না।
)
দিল্লিতে এইমসে প্রায় “দেড় সপ্তাহ কাজ করবেন ইসরাইলি বিজ্ঞানীরা। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতে থাকা ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন ম্যালকিন। তিনি আরও জানান এই চার প্রযুক্তির করোনা পরীক্ষা কতটা কার্যকর হচ্ছে, তার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষাগুলি হয়েছে ইসরাইলেই। শেষ পর্যায়ের পরীক্ষাগুলি এখন ভারতে করা হবে। ভারতে প্রতিটি প্রযুক্তির প্রায় ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ টি করে পরীক্ষা করা করবে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও অ্যালগরিদম তৈরিতে অবদান রাখবেন।
)
ভারত-ইসরাইল এই যৌথ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন দফতরের ডিরেক্টর দানি গোল্ড এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন। তহবিল, সরবরাহ, গবেষণা এবং ফলাফল - সবই হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতায়।
)
এই চার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করোনা পরীক্ষা ছাড়াও ইসরাইলি বিজ্ঞানীরা ভারতের জন্য রোবট, টেলিমেডিসিন, বিশেষ ধরণের স্যানিটাইজিং সরঞ্জামাদি-সহ আরও অনেক আধুনিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম নিয়ে আসছেন। মহামারির গোড়ার দিনে ভারত হাজার হাজার ইসরাইলি-কে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এবং জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে সহায়তা করেছিল। এই ধরণের পারস্পরিক সহযোগিতা ভারত-ইসরাইল দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের অঙ্গ বলেই জানিয়েছেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত।