- Home
- India News
- ফের নতুন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে ইসরো, আগামী বছরের শুরুতেই মরচের কারণ জানতে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে 'চন্দ্রযান-৩'
ফের নতুন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে ইসরো, আগামী বছরের শুরুতেই মরচের কারণ জানতে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে 'চন্দ্রযান-৩'
- FB
- TW
- Linkdin
সফল হয়নি চন্দ্রযান-২’র অভিযান। কথা ছিল, চলতি বছরই পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে গেল। ২০২০এর শেষার্ধ্বে নয়, ২০২১ সালে হবে চন্দ্রযান-৩ অভিযান। আর তার পরের বছর, ২০২২এ ‘মিশন গগনযান’।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকে গর্বান্বিত করেছে ইসরো । একের পর এক মহাকাশে নতুন নতুন কীর্তি স্থাপন করে চলেছে তারা। চন্দ্রযান-২ কে গত বছর ২২ জুলাই লঞ্চ করা হয়েছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-২ কে ল্যান্ড করানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ল্যান্ডার বিক্রম ৭ ডিসেম্বর হার্ড ল্যান্ডিং করায় প্রথম প্রয়াস ব্যর্থ হয় , আর ইসরো সমেত গোটা ভারতের স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে এই অভিযান অনুযায়ী পাঠানো অরবিটর সঠিক ভাবেই কাজ করছে।
সব ঠিকঠাক চললে আগামী বছর প্রথমার্ধে উৎক্ষেপণ হতে চলেছে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের। তবে, ইসরোর চন্দ্রাভিযানের তৃতীয় সংস্করণে থাকবে না কোনও অরবিটার। স্রেফ ল্যান্ডার ও রোভার পাঠানো হবে।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২০ সালে তৃতীয় যান পাঠানো হবে। কিন্তু, তারপর করোনাভাইরাস অতিমারী ও লকডাউনের ফলে সব প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২১ সালের গোড়ায় পাঠানো হবে এই মহাকাশযান।
চন্দ্রযান ১ এর পাঠান তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একাবার রীতিমত আবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন চাঁদের গায়ে পড়েছে মরচে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ এর মতোই হবে চন্দ্রযান-৩। তবে তফাত একটাই। এবার কোনও অরবিটার থাকছে না। স্রেফ ল্যান্ডার ও রোভার নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩।
গত বছর ২২ জুলাই উৎক্ষেপিত হয়েছিল চন্দ্রযান-২। গন্তব্য ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরু। সেখানেই অবতরণ করার কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের। কিন্তু, ৭ সেপ্টেম্বর হার্ড ল্যান্ডিং হওয়ায় ভেঙে পড়ে বিক্রম। সেইসঙ্গে ভেঙে যায় প্রথম চেষ্টায় ভারতের চাঁদে সফল অবতরণের স্বপ্ন।
তবে, ওই অভিযানে যে অরবিটার পাঠানো হয়েছিল, তা দিব্যি কাজ করে চলেছে। নিয়মিত ছবি ও তথ্য পাঠাচ্ছে। এর আগে, চন্দ্রযান-১ মহাকাশযানেও ছিল অরবিটার ছিল। সেও ছবি পাঠিয়েছে। যে কারণে, আগামী অভিযানে অরবিটার না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বলা হয়েছে, চন্দ্রযান ৩ আসলে চন্দ্রযান ২ এরই পুনঃ মিশন। তার আগে চন্দ্রযান-১ কে ২০০৮ এ লঞ্চ কেরিছল ইসরো। আর সেই যান থেকেই যে সমস্ত ছবি উঠে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, চাঁদের গায়ে ধীরে ধীরে মরচে ধরার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। মূলত চাঁদের মেরু অঞ্চলে এই মরচের চিহ্ন মিলেছে।
জানা যাচ্ছে, চাঁদের পৃষ্ঠে লোহার পরিমাণ রয়েছে অনেকটাই বেশি। রয়েছে লোহা সম্পন্ন পাথর। এদিকে, জল বা অক্সিজেন চাঁদে কতটা রয়েছে তা ঘিরে কিছুটা সংশয় থেকে গিয়েছে। ফলে লোহার সঙ্গে অস্কিজেন বা জলের উপস্থিতি না হলে মরচের প্রশ্নও আসবে না। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে।
হার্ড ল্যান্ডিং এর জন্য চন্দ্রযান ২ অসফল ছিল। সফট-ল্যান্ডিং হলে, সম্ভবত চাঁদে জল ও অক্সিজেনের অস্তিত্ব নিয়ে যাবতীয় প্রমাণ এতদিনে স্পষ্ট হয়ে যেত। তবে ব্যর্থতা ঢেকে এবার চন্দ্রযান ৩ নিয়ে কার্যত পাখির চোখের নিশানা লাগিয়ে রেখেছে ইসরো।
তবে চন্দ্রযান ৩ এর পাশাপাশি ইসরো কাজ করে চলেছে মিশন ‘গগনযান’ নিয়ে। এটি ভারতের তরফে মানুষকে পাঠানোর প্রথম মিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয জানিয়েছেন, করোনার জেরে এই কাজে কিছুটা বাধা এলেও ২০২২ সালের শেষের দিকে এই মিশনের প্রস্তুতি শেষ করার চেষ্টা করা হবে।