Taj Mahal: একালের শাহজাহান, স্ত্রীকে ভালোবেসে তৈরি করলেন ছোট্ট তাজমহল, দেখুন ছবিতে
একালের শাহজাহান বললেন খুব একটা ভুল হবে না। কারণ স্ত্রীকে ভালোবেসে তিনি সম্রাট শাহজাহানের কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন। তিনি মধ্যপ্রদেশের (Maghya Pradesh) বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দ প্রকাশ চৌকসি (Anand Prakesh Choukesy)। একজন শিক্ষাবিদ। স্ত্রী মঞ্জুসা চৌকসির জন্য চার ঘর বিশিষ্ট একটি ছোট্ট তাজমহল (Taj Mahal) বানিয়েছেন। যা নিয়ে রীতিমত সরগরম নেটদুনিয়া।
| Published : Nov 23 2021, 12:15 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
আনন্দ প্রকাশ ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জুসা আগ্রায় বেড়াতে গিয়ে তাজমহল দেখেছিলেন। তাজমহলের স্থাপত্য় তাদের আকর্ষণ করেছিলেন। সেই থেকেই এই জাতীয় বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেন আনন্দ চোকসি। তাঁরা তাজমহলের স্থাপত্য নির্মাণ শৈলী অধ্যায়ন করেন। তারপর মধ্যপ্রদেশে ফিরে একটি ৮০ ফুটের বাড়ি নির্মাণ করতে চান। কিন্ত প্রশাসন তার অনুমতি দেয়নি। তারপরই তিনি ছোট তাজমহলের মত বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন।
চৌকসির এই ছোট তাজমহল তৈরি করতে মাত্র তিন বছর সময় লেগেছিল। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা তাজমহলের একটি 3D ছবির ভিত্তিতে বাড়িটি তৈরি করেছেন। তিনি আশা করেছেন তাঁর বাড়িটি আগামী দিনে বুরহানপুরে যাওয়ার পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে। বহু মানুষই তাঁদের বাড়িটি দেখতে আসবেন।
ইঞ্জিনিয়ার প্রবীণ চৌকসি জানিয়েছেন বাড়িটি ৯০ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র বাড়ি তৈরি হয়েছে ৬০ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে। দুটি গম্বুজ ২৯ ফুট উঁচু। দোতলা বাড়িতে প্রতি তলায় দুটি শয়নকক্ষ রয়এছে। আর একটি রান্নাঘর আর একটি পড়ার ঘর বা লাইব্রেরি রয়েছে। একটি ধ্যান কক্ষও বানিয়েছেন তাঁরা।
তবে এই বাড়ি তৈরির আগে তাঁরা তাজমহলের পাশাপাশি ঔরঙ্গাবাদের বিবি কা মাকবারাও গিয়েছিলেন। এখানে ঔরঙ্গজেব তাজমহলের অনুকরণে একটি ভবন তৈরি করেছিলেন। সেই ভবনও দম্পতিকে সহযোগিতা করেছে নিজেদের তাজমহল তৈরি করতে।
৫২ বছরের আনন্দ প্রকাশ, ৪৮ বছরের স্ত্রীর জন্যও এই ছোট্ট তাজমহল তৈরি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এই বাড়ি তাঁর ভালোবাসার প্রতীক। তাই বাড়ি তৈরির খরচ বলতেও রাজি নন তিনি।
চৌকসি জানিয়েছেন তিনি একটি বিশেষ বাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন ছোট্ট শহর বুরহানপুরে। তাঁর কথায় এই শহরে প্রতি বছরই নতুন বাড়ি তৈরি হয়। কিন্ত তাঁর বাড়িটি এমন হবে যা নিয়ে শহরে আলোচনা হবে।
চৌকসির কথায় এই বাড়িটিও ভালোবাসার প্রতীক। তাজমহল শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের প্রতি মোঘল বাদশার প্রেমের প্রতীক ছিল। এই বাড়িও তাঁর স্ত্রীর প্রতি তাঁর প্রেমের প্রতীক।
চৌকসি আরও বলেছেন, আগ্রার আসল তাজমহলকে অনুকরণের জন্য তাঁরা স্বামী স্ত্রী উভয়ই যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। এই বাড়ি ঘিরে তাঁদের অনেক স্বপ্ন রয়েছে।
আসল তাজমহল তৈরি হয়েছিল আগ্রায়। যমুনা নদীর তৈরি। সম্রাট শাহজাহান ১৬৩২ সালে তাজমহল নির্মাণ শুরু করেছিল। কাজ শেষ হয়েছিল ১৬৫৩ সালে। প্রয়াত স্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তাজমহল তৈরি করেছিলেন শাহজাহান। সেটি এখনও বিশ্বের একটি আশ্চার্য।
কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য পথে হাঁটলেন আনন্দ প্রকাশ। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে হাত ধরাধরি করেই তৈরি করেছেন তাঁদের স্বপ্নের বাড়ি। যা তাঁর নিজের ভালোবাসার প্রতীক বলেও জানাতে দ্বিধা করছেন না তিনি।