- Home
- India News
- 'নীচে কিছু পরেছেন কি', উষ্ণতা জড়ানো ছবি তুলে নীতি পুলিশের ডান্ডা খেলেন নবদম্পতি, দেখুন
'নীচে কিছু পরেছেন কি', উষ্ণতা জড়ানো ছবি তুলে নীতি পুলিশের ডান্ডা খেলেন নবদম্পতি, দেখুন
বর্তমানে বিয়েকে কেন্দ্র করে তরুণ দম্পতিদের ফটোশুট একটা সামাজিক ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ করছে প্রিওয়েডিং ফটোশুট, কেউ পোস্ট-ওয়েডিং - তারপর সেইসব ছবি শোভা পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। এই ফটোশুট করতে গিয়েই কেরলের এক দম্পতি রীতিমতো নীতি পুলিশের ডান্ডার বাড়ি খেলেন। শুরু হয়েছিল অনলাইনে ট্রোলিং দিয়ে, তারপর পাড়া-প্রতিবেশী থেকে দূর সম্পর্কের আত্মীয়, সবাই বলে উঠলেন ছিঃ। শুনতে হল 'জামা-কাপড় পরা আছে তো'র মতো কুরুচিকর প্রশ্ন, মন্তব্য।
| Published : Oct 19 2020, 01:44 PM IST / Updated: Oct 28 2020, 05:07 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ঋষি কার্তিকেয়ন এবং লক্ষ্মী-র বিয়ে হয়েছিল গত ১৬ সেপ্টেম্বর। করোনাভাইরাস মহামারি জনিত বিধিনিষেধের কারণে বিয়ের আগে বা বিয়ের দিন কোনও ফটোশুট করার সুযোগ পাননি তাঁরা।
সম্প্রতি সেই সুযোগ আসতেই তাঁরা ইদুক্কি জেলার ওয়াগামন এলাকার এক চা বাগানে গিয়েছিলেন পোস্ট-ওয়েডিং ফটোশুট করতে। ফটোগ্রাফার তাঁদেরই বন্ধু অখিল কার্তিকেয়ন।
তিনি নবদম্পতির এমন ছবি তোলে, যা দেখে মনে হচ্ছে বোধহয় তাঁরা শুধু সাদা চাদরে গায়ে জড়িয়ে আছেন। আসলে গতানুগতিক পোশাকে বিয়ের ফটোশুট করার বদলে ঋষি এবং লক্ষ্মী নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু তাঁরা যা শৈল্পিক, নান্দনিক বলে মনে করেছিলেন তার জন্য যে এত বড় খোরগোল তৈরি হবে, তা তাঁরা আঁচ করতে পারেননি। সেই ছবিগুলি অনলাইনে পোস্ট করার পর থেকেই নেটিজেনরা অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে ওই দম্পতিকে কটূক্তি করা শুরু করেছিলেন।
লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে 'নগ্নতা' প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন করা হয়, 'আপনি কি (চাদরের) নীচে পোশাক পরেছেন?'
ঋষির পরিবারের কোনও সদস্য তাঁদের সেইসব ছবিগুলি নিয়ে কোনও আপত্তি না জানালেও লক্ষ্মীর প্রতিবেশী ও দূর সম্পর্কের বেশ কয়েকজন আত্মীয় তাঁর বাবা-মা'এর কাছে এই ছবি তোলা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানান। এসব 'চার দেওয়ালের মধ্যে করা উচিত' বলে সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা।
সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, পুরো শুটিং জুড়েই তাঁরা পোশাক পরেই ছিলেন। ওয়াগামনের একটি প্রকাশ্য এলাকায় তাঁরা ফটোশুটটা করেছেন। সেখানে পোশাক ছাড়া থাকা একেবারেই অসম্ভব।
ছবিগুলি তাঁদের ফটোগ্রাফার বন্ধুর নান্দনিকতা, সৃজনশীলতা এবং ক্যামেরা দক্ষতার কারণেই অতটা ঘনিষ্ঠ, উষ্ণ হয়েছে। আর ছবিতে তাঁর ঘাড় বা পা ছাড়া শরীরে আর কোনও অংশ দেখা যায়নি। তিনি এমনিতে প্রায়শই অফ শোল্ডার জামা এবং শর্টস পরেন। ঘাড় বা পা দেখানো কোনওভাবেই নগ্নতা প্রদর্শন বলা যায় না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি লক্ষ্মী তাঁর বাবা-মা'কে বুঝিয়ে বলেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর বাবা-মা বুঝেছেন, বিভিন্ন ধরণের মানুষ হয়, এবং সবার মতামত এবং রায় বিবেচনা করতে গেলে চলা মুশকিল। তাই তাঁদের দিক থেকেও এই ছবি তোলার বিষয়ে কোনও আপত্তি ওঠেনি।
ছবিগুলি ফেসবুকে পোস্ট পরই ভয়াবহ মন্তব্যের ঝড় উঠেছিল। শুরুতে, ঋষি ও লক্ষ্মী কিছু মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, তবে একবার ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার পর ট্রোলিং-এর প্রতিক্রিয়া জানানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারপর থেকে তাঁরা ওইসব মন্তব্য উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর ছবিগুলিও তাঁরা ফেসবুক থেকে সরাবেন না বলে দিয়েছেন। ট্রোলিং-এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।