অনলাইন ক্লাস নিয়ে উদ্বেগ কমিটির রিপোর্ট কার্ডে, মহামারির আবহে কী ভাবে চলবে পড়াশুনা
- FB
- TW
- Linkdin
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রক শিক্ষার্থীদের জন্য লার্নিং এনহান্সমেন্ট গাইডলাইইনস প্রকাশ করেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশের স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। তাই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষামন্ত্রক।
শিক্ষা মন্ত্রকের তৈরি এনসিইআরটির কমিটি অননাইল ক্লাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ কমিটির সদস্যরা অনলাইন শিক্ষা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিজিটাল পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস না থাকা শিশুদের বিষয়ে উদ্বেদ প্রকাশ করেছে।
কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ২০-৩০ শতাংশ পডুয়া জানিয়েছেন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা না থাকায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। আর ১০-২০ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ক্লাস একটি বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সমীক্ষা অনুসারে অনলাইন ক্লাসের মূল সমস্যাগুলি হল দুর্বল ইন্টারনেট বা দুর্বল নেটওয়ার্ক। মোবাইল ফোন ব্যবহার করাও বেশ কয়েকটি এলায় সমস্যার বলেও জানান গেছে।
ডিভাইস ব্যবহার করতে সাবলীল নন অনেক শিক্ষার্থী। পাশাপাশি একই সমস্যা রয়েছে শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও।
পড়ুয়াদের অভিযোগ তাঁদের কাছে পাঠ্যপুস্তক নেই। যদিও এনসিইআপটির ওয়েব সাইটেই পাওয়া যায় বই কিন্তু ডিজিটাল বই বা ইবুক ব্যবহারে অনভ্যস্ত পডুয়ারা। অনলাইন ক্লাসের প্রতি শিক্ষক ও পডুয়া উভয় পক্ষই অনাগ্রহী।
রিপোর্টে বলা হয়েছে অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায় হল বিদ্যুৎ পরিষেবা। ২৭ শতাংশই দাবি করেছেন হঠাৎ হঠাৎ কারেন্ট না থাকায় ব্যাহত হয় অনলাইন ক্লাস।
রিপোর্টে বলা হয়েছে গড়ে ২৭ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন নেই। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লকডাউনের কারণে।
তবে এই সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬০-৭০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুলই মহামারি চলার সময় অনলাইন ক্লাসকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন।
অনলাইনের ক্লাসের জন্য পড়ুয়াদের প্রথম পছন্দই হল মোবাইল ফোন। আর শিক্ষকদের কাছে রীতিমত জনপ্রিয় হয়েছে ল্যাপটপ। শিক্ষার মাধ্যাম হিসেবে রেডিও ও টিভি সবথেকে কম ব্যবহৃত ডিভাইস ছিল বলেই জানান হয়েছে রিপোর্টে।