- Home
- India News
- ক্লান্তির কোনও ছাপ নেই শরীরে, রবিবার রাতে নতুন সংসদ ভবনের কাজ খতিয়ে দেখতে সারপ্রাইজ ভিজিট মোদীর
ক্লান্তির কোনও ছাপ নেই শরীরে, রবিবার রাতে নতুন সংসদ ভবনের কাজ খতিয়ে দেখতে সারপ্রাইজ ভিজিট মোদীর
তিন দিনের জন্য আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ২০টি বৈঠক সেরেছেন তিনি। কিন্তু, তারপরও তাঁর শরীরে ক্লান্তির কোনও চিহ্ন নেই। আচমকাই রবিবার রাতে দিল্লির নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ খতিয়ে দেখতে যান তিনি। এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি কথা বলেন নির্মাণকর্মীদের সঙ্গেও। তাঁর এই সফরের কথা আগে থেকে কারও জানা ছিল না। হঠাৎই সেখানে উপস্থিত হন তিনি।
| Published : Sep 27 2021, 09:03 AM IST / Updated: Sep 27 2021, 09:26 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রবিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিট হঠাৎই নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ (Parliament construction site) খতিয়ে দেখতে সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণ সাইটে (Central Vista redevelopment project) পৌঁছান মোদী। প্রায় ১ ঘণ্টা ওই এলাকায় ছিলেন। তাঁর এই সফরের কথা আগে থেকে কারও জানা ছিল না। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে ওই এলাকায় দেখে কিছুটা হলেও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নির্মাণকর্মীরা।
মোদীর (PM Narendra Modi) পরনে ছিল সাদা কুর্তা ও চোস্ত পায়জামা। আর তার সঙ্গে মাথায় ছিল সেফটি হেলমেট ও মুখে মাস্ক। কাজ কোন পথে এগোচ্ছে তা ঘুরে দেখেন তিনি। সাইটের প্রায় সব জায়গাতেই যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি নির্মাণকর্মীদের সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কথা বলেন।
৬৪ হাজার ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের উপর তৈরি এই সংসদ ভবনের বাইরে ও ভিতরের অংশ সবটাকেই নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। একাধিক নতুন প্রযুক্তিও যুক্ত হবে এই ভবনের মধ্যে। আর সেই কারণেই নির্মাণকাজ পরিকল্পমা মাফিক হচ্ছে কিনা তাই নিজের চোখে দেখে গেলেন মোদী।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্মার্ট ডিসপ্লে, বায়োমেট্রিক সহ গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস, ডিজিটাল ভাষা অনুবাদক ও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে এই ভবনে। এছাড়াও স্পীকারের নিয়ন্ত্রাণাধীন মাইক্রোফোনের (programmable microphones) ব্যবস্থাও থাকবে। সংসদ ভবনটি তৈরি করতে খরচ হবে ৯৭০ কোটি টাকা।
সংসদ ভবনের পাশাপাশি একটি সাধারণ সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রী নতুন বাসভবন ও দফতর এবং রাজপথ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা পুনর্গঠন করা হবে। পুরনো সংসদ ভবনটিকে সংস্কার করে রূপান্তরিত করা হবে সংগ্রহশালায়।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই নির্মাণকাজ নিয়ে বিরোধিতা করেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী চিঠি লিখে মোদীকে আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এই ভবন দেশবাসীকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন মোদী। তার জন্যওই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিরোধীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এই ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০২২ সালের বাদল অধিবেশন নতুন সংসদ ভবনেই করার ইচ্ছা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেই কারণেই তড়িঘড়ি এই কাজ শুরু করা হয়েছে। টাটা প্রজেক্টস এই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ২০২০-র ১০ ডিসেম্বর নরেন্দ্র মোদী এই নতুন সংসদভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
এই নতুন সংসদভবনের লোকসভায় ৮৮৮টি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর রাজ্যসভায় থাকবে ৩৮৪টি আসন। এছাড়াও এই ভবনে সব সাংসদদের নিজস্ব কক্ষও থাকবে। সংসদের যৌথ অধিবেশনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সংসদভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ১৯২১ সালে। নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ১৯২৭ সালে। বর্তমান সংসদভবনটি প্রায় ৯৪ বছরের পুরোনো। ব্রিটিশ আমলের পার্লামেন্টের তুলনায় নতুনটিতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রাখা হবে বলেও জানান হয়েছে।
কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবনকে নতুন সংসদভবনের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। অন্তত পক্ষে তিনটি টানেল থাকবে। ভিভিআইপিরা যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারেন তার জন্যই ওই টানেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।