শনিবার নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করবেন অটল টানেলের, দেখেনিন বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল
কাউন্টডাউন শুরু করে দিতে পারেন। শনিবার বিশ্বের সবথেকে বড় হাইওয়ে টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৯ কিলোমিটার ২ মিটার লম্বা অটল টানেল মালানির সঙ্গে লাহাল-স্পিতি ভ্যালিকে সংযুক্ত করেছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই ট্যালেনটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ হাতারে ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি হিমালয়ের পীর পাঞ্জাল পরিসরে অবস্থিত। এই টানেলের মাধ্য়মেই মানালি থেকে লে-র দূরত্ব ৪৬ কিলোমিটার কমে যাবে।
- FB
- TW
- Linkdin
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। পাশাপাশি আসন্ন শীতকালের কথা মাথায় রেখে দ্রুতার সঙ্গে নির্মাণ করা শেষ করা হয়েছে অটল টানেলের। আগামী ৩ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার এই টানেলেটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই টানেলের দৈর্ঘ্য ৯.২ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১০.৫ মিটার। ঘোড়ার ক্ষুরের মত দেখতে অ্যাধুনিক অটল টানেলে রয়েছে দুটি লেনের রাস্তা।
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেলটি। এটি মানালির সঙ্গে লাহাল আর স্পিতি ভ্যালিকে সংযুক্ত করেছে।
অটল টানেল তৈরি হওয়ায় মানালি থেকে লে-র দূরত্ব প্রায় ৪৬ কিলোমিটার কমে যাবে। যাতায়াতে সময় বাঁচবে ৪-৫ ঘণ্টা।
অটল টানেলের দক্ষিণের মুখটি মানালি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর উত্তরের অংশটি লাহাল উপত্যকার সিসু নদীর তীরে তেলিং গ্রামের কাছে রয়েছে।
অটল ট্যানেলে প্রতিদিন ৩০০০ গাড়ি চলাচল করতে পারবে। টানেলের ভিতরে গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার রাখা যাবে। প্রতিদিন ১৫০০ ট্রাক এই টানেলের মধ্যে দিতে চলাচল করতে পারবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
টানেলের ভিরতে হাফ ট্রান্সভার্স বায়ুচলাচলের ব্যবস্তা, এসসিএডিএ নিয়ন্ত্রিত দমকল, আলোকসজ্জা আর ইলেকট্রোমেকানিত্যাল সিস্টেম রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় অটলবিহারী বাজপেয়ী রোটাংপাস এলাকায় এই টানেলেটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। মানালির দিক থেকে টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টানেলের মধ্যে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। প্রায় ১৫০০ মিটার অন্তর টেলি সংযোগ ব্যবস্থা থাকছে। প্রতি ৬০ মিটার অন্তর ফায়ার হাইড্রান্ট প্রক্রিয়া থাকছে।
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই টানেলেটি। আশা করা হচ্ছে আসন্ন শীতকালেই স্পিতি উপত্যকার সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় থাকবে। কারণ অত্যাধিক তুষারপাতের কারণে এই এলাকাটি বছরের প্রায় ৬ মাস বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।