সেনার মনোবল বাড়াতে আচমকাই লাদাখে প্রধানমন্ত্রী, গেলেন সীমান্ত চৌকিতেও
কথা ছিল শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লাদাখ সফরে যাবেন। তার বদলে সবাইকে অবাক করে দিয়ে শুক্রবার লাদাখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক সকাল ১০টা নাগাদ লেহের সামরিক ঘাঁটিতে অবতরণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি যে এদিন লাদাখ যেতে পারেন, এমন কোনও খবর নাকি আগে থেকে ছিল না। সেনার পাশে থাকার বার্তা দিতেই মোদীর এই সফর বলে জানা যাচ্ছে।
| Published : Jul 03 2020, 12:32 PM IST / Updated: Jul 03 2020, 12:45 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
গত ১৫ জুন ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লে-তে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে বর্তমানে "নিমু" এলাকায় রয়েছেন তিনি। ওই সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, "উনি খুব ভোরেই ওই এলাকায় পৌঁছে যান। সেখানে তিনি পদাতিক সেনা, বায়ুসেনা এবং আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ) -এর কর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন।
যে এলাকায় তিনি এখন আছেন সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,০০০ ফুট ওপরে, জ্যানস্কর রেঞ্জের ওই এলাকা খুবই দুর্গম"।
লাদাখের এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর মোদির সঙ্গে রয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এমএম নারভানে।
এলএসিতে ভারতীয় বাহিনীর যে সব সীমান্ত চৌকি রয়েছে, সেগুলোর কয়েকটিতে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন এবং সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
১৫ জুন রাতে গালওয়ানের সংঘর্ষে যে জওয়ানরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই লেহতে দেখা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কারও তরফ থেকেই আগে জানানো হয়নি যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে আজ লাদাখ যেতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সীমান্ত সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা।
পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর না হলে বা খুব বড় পদক্ষেপের কথা ভাবা না হলে প্রধানমন্ত্রী নিজে সীমান্ত চৌকিতে যান না। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই আচমকা সীমান্ত সফর বাহিনীর মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দেবে বলে দাবি করছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। কূটনীতিক মহল বলছে, চিনের জন্যও এটা খুব বড় বার্তা
শুক্রবার সন্ধে নাগাদ দিল্লি ফিরে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।