'এখনও ভাইরাস আছে', করোনাসুরকে জব্দ করতে প্রধানমন্ত্রীর দশ পরামর্শ
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের মানুষ জনতা কার্ফিউ থেকে আজ অবধি অনেক দূর এগিয়ে এসেছেন।
অর্থনৈতিক কার্যকলাপও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা অধিকাংশ মানুষই দায়িত্ব পালনের জন্য, জীবনকে গতিময় করে তোলার জন্য প্রতিদিনই বাড়ি থেকে বের হচ্ছি। উত্সবগুলির মরসুমও আস্তে আস্তে বাজারে স্ফুলিঙ্গ এবং আলো ফেরাচ্ছে।
আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে লকডাউন উঠে গেলেও ভাইরাসটি চলে যায়নি। গত ৭-৮ মাসে প্রত্যেক ভারতীয়ের প্রচেষ্টায় ভারত স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি ফের অবনতি হতে দেওয়া যাবে না।
আজ দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ভাল, প্রাণহানির হার কম। ভারত বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলির থেকে বেশি নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সফল হচ্ছে। ক্রমবর্ধনাম পরীক্ষার সংখ্যা কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা সকলেই অনেকগুলি ছবি, ভিডিও দেখেছি যা থেকে এটা স্পষ্ট যে অনেক লোকই এখন সাবধানতা অবলম্বন বন্ধ করে দিয়েছে। এটা ঠিক নয়।
আপনি যদি অসাবধান হন, মুখোশ ছাড়াই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান, তাহলে আপনি নিজেকে, আপনার পরিবার, আপনার সন্তান এবং প্রবীণদের বিপদে ফেলছেন।
যতক্ষণ না আমরা পুরোপুরি সফল হচ্ছি, দয়া করে (মহামারিকে) অবহেলা করবেন না। যতক্ষণ না কোভিড ভ্যাকসিন আসে, আমাদের এই মহামারীটির বিরুদ্ধে লড়াই শিথিল করা চলবে না।
বহু বছর পরে মানবজাতিকে বাঁচাতে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি দেশ এই নিয়ে কাজ করছে। এমনকী ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজ চলছে। ভারতে বেশ কয়েকটি কোভিড ভ্যাকসিন (প্রার্থী) রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি পরীক্ষার উন্নত পর্যায়েও রয়েছে।
কোভিড ভ্যাকসিন আসলেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা সকল ভারতীয়ের কাছে পৌঁছনো নিশ্চিত করার জন্যও সরকার কাজ করছে। মনে রাখবেন, নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত কোনও শিথিলতা নেই।
আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এমনকী সামান্য অসতর্কতাও আমাদের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পারে এবং আমাদের সুখকে নষ্ট করতে পারে। একইসঙ্গে জীবনের দায়িত্ব পালন করা এবং সাবধানতা বজায় রাখা গেলেই শুধুমাত্র জীবনে সেই সুখ থাকবে।