মাস্ক না পরলে মিলবে না ছাড়পত্র, সচেতন করতে ফ্রন্ট লাইনে রোবট কন্যা 'জাফিরা'
করোনার কারণে দীর্ঘদিন লকডাউনে ছিল দেশ। তবে এখন দেশে শুরু হয়েছে আনলক পর্ব। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। খুলতে শুরু করেছে, অফিস-কাছারি, কল-কারখানা, দোকান-পাট। যদিও এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ছে। কিন্তু তাইবলে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করে ঘরে বসে থাকার উপায় নেই। তাই উপযুক্ত সুরক্ষা নিয়েই নামতে হবে ময়দানে। তার জন্য সচেতনতা বাড়াতে। আর তাই তামিলনাড়ু ত্রিচুরপল্লীর বস্ত্র বিপণতি মানুষকে সচেতন করতে দেখা গেল এক অভিনব উদ্যোগ নিতে।
- FB
- TW
- Linkdin
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরপল্লীর একটি কাপড়ের কোম্পানি করোনাকে হারাতে তাদের বিপণির ঠিক প্রবেশ পথে রোবট বসিয়েছে। যার নাম আবার জাফিরা। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনারদের মতোই সম্মুখ সমরে নেমেছে এই রোবট সুন্দরী জাফিরা।
জাফিরার কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। কাপড়ের দোকানে আসা প্রতিটি ব্যক্তি মাস্ক পরে রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছে জাফিরা। পাশাপাশি দোকানে আসা অতিথিদের সকলকেই স্যানিটারাইজার দিচ্ছে এই রোবট সুন্দরী। এখানেই অবশ্য শেষ নয় রোবট সুন্দরীর কাজ। দোকানে আসা প্রতিটি মানুষের নম্বর নিয়ে তা মালিকের কাছে মেল করেও পাঠাচ্ছে রোবট কন্যা।
জানা গিয়েছে পুরোপুরি ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমে চলে জাকিরা। দোকানে আসা প্রত্যেক গ্রাহকের তাপমাত্রাও মাপতে পারে এই রোবট কন্যা। এভাবে প্রবেশ পথেই জাকিরা সিদ্ধান্ত নেয়, কে দোকানে প্রবেশ করতে পারবে আর কাকে ফিরে যেতে হবে। করোনা সংক্রমণ আটকাতে ফ্রন্ট লাইনার হিসাবে ময়দানে নেমেছে জাকিরা।
নিউ নর্মালে যেসব স্থান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে সেখানে এই কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সব কর্মীদের নিজেদেরই সংক্রমণের কবলে আসার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু জাফিরার ক্ষেত্রে সেসবের বালাই নেই।
তবে ভারতে এই প্রথম করোনা আবহে ওয়ার্কফ্রন্টে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে না। এর আগে, করোনা সঙ্কটের সময়, রোবট নার্সকে হাসপাতালে রোগীদের সেবা করতে দেখা গিয়েছিল।