৭০ থেকে ৯০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', ১৩২ বছরে কখনও এরকম হয়নি
- FB
- TW
- Linkdin
সোমবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় অশনি। ঘন্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিমি গতিবেগে ধেয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড় অশনি। মৎসজীবীদের সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি এর অবস্থান রয়েছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরে এই সিস্টেম আরও শক্তিশালি হবে।
আপাতত উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে এই সিস্টেমটি। সোমবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় প্রাথমিক উত্তর দিকে এগোলেও পরবর্তীকালে এটি উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নেবে।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'জলবায়ুগতভাবে মার্চ ঘূর্ণিঝড়ের মৌসম নয়। এটি প্রধানত এপ্রিল এবং মে মাসে হয়। মার্চ মাসে সমুদ্র শীতল থাকে।' বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে 'অশনি।' নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
হাওয়া অফিস আগেই সতর্ক জানিয়েছে যে, প্রবল বেগ নিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বেশ কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেতেই ২২ মার্চ অবধি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে যাবতীয় পর্যটন স্থগিত করা হয়েছে।
মার্চে ঘূর্ণিঝড় খুবই কমই শোনা যায়। গত ১৩২ বছরে প্রথমবার মার্চে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটেনের রিডিং বিশ্ব বিদ্যালয়ের আবহবিদ অক্ষয় দেওরাস।
মঙ্গলবার সকালের মধ্য়ে ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমার উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশের সম্ভবনা রয়েছে। সরাসরি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের জেলাগুলিতেও।
ঘূর্ণিঝড় অশনির সরাসরি প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাস্প প্রবেশ করতে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে। এরফলে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
মঙ্গলবার এবং বুধবার আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। প্রচুর জলীয়বাস্প ঢোকায় অস্বস্তি বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ রয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। অক্ষরেখায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত।আর একটি অক্ষরেখা রয়েছে মধ্যপ্রদেশের অক্ষরেখা থেকে মারাঠা পর্যন্ত।