- Home
- World News
- International News
- কয়েক ফুট কাদার নিচে গোটা ১টা জেলা, মৃত ৭, নিখোঁজ ৫০ - হিমালয়ে বিধ্বংসী হরপা বাণ, দেখুন
কয়েক ফুট কাদার নিচে গোটা ১টা জেলা, মৃত ৭, নিখোঁজ ৫০ - হিমালয়ে বিধ্বংসী হরপা বাণ, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
কী ঘটেছিল সেইদিন? ভিটেহারাদের একজন, মেলামচি বাজার এলাকার রাধিকা শ্রেষ্ঠ জানিয়েছেন সেদিন দুপুরে তিনি মাঠের কাজ করে বাড়ি ফেরার পরই তাঁর দেওর তাঁকে ফোন করে জানায়, ধসের ফলে মেলামচি নদীর পথ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে এবং বন্যা আসতেপারে। তাই তাদের নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল সে। তাঁর স্বামী তখনও কাজে ছিলেন। স্বামীকে ডেকে নিয়ে সব কিছু ছেড়ে তাঁরা ছুটে চলে গিয়েছিলেন উচু এলাকায়। তাদের বাড়ি ঘর সবই এখন কাদার নিচে।
তারা তবু সময়মতো খবর পাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসনের হিসাবে এখনও পর্যন্ত সাত জনের নিশ্চিত মৃত্যুর হয়েছে। মেলামচি পানীয় জল প্রকল্পের অন্তত আট জন কর্মী নিখোঁজ। শুধু মেলামচি বাজার এলাকাতেই প্রায় ২০০ টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি হারিয়েছেন শতাধিক পরিবার। তাঁরা স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং জানিয়েছেন, মেলামচি ও ইন্দ্রবতী - দুই নদীতেই বন্যা দেখা দিয়েছে। মেলামচি বাজারের পাশাপাশি তিম্বু বাজার, তালামরঙ্গ বাজার, চানৌত বাজার এলাকা বন্যা কবলিত। সব মিলিয়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ।
আপাতত নেপালের সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং নেপাল পুলিশ বন্যা বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলিতে একটি উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে। তবে পুরো এলাকাই এখন কাদা, বালি এবং জলের একটি পুরু স্তরের তলায় নিমজ্জিত।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই হরপা বানের কারণ উচ্চ পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত। তবে অনেকেই মনে করছেন, এর পিছনে তিব্বতের সীমান্তবর্তী উচ্চ উঁচু অঞ্চলের কোনও হিমববাহ ফেটে যাওয়ার ঘটনা থাকতে পারে। ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের ফলে, পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের খাঁড়িগুলিতে প্রচুর পরিমাণে বরফ এবং কাদামাটি রয়ে গিয়েছে। অতি বৃষ্টিতে হিমবাহের নিচে সেইসব বরফ ও কাদামাটির চলনের ফলে কোনও হিমবাহ ফেটে যেতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
২০১৫ সালের ভূমিকম্পেরও অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু, ছিল এই সিন্ধুপালচক জেলা। প্রতি বছইরই বর্ষায় বন্যা বা ভূমিধসের কারণে এই জেলা ক্ষতির মুখে পড়ে। বর্ষা শুরুতেই এই হরপা বানের পর সামনের তিনমাসে হিমালয়ের কোলের এই দেশে আরও বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।