- Home
- World News
- International News
- করোনা-টিকার সুবিধা পাবে কোন কোন দেশ, ট্রুডোর নেতৃত্বে বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন ৮ রাষ্ট্রনেতা
করোনা-টিকার সুবিধা পাবে কোন কোন দেশ, ট্রুডোর নেতৃত্বে বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন ৮ রাষ্ট্রনেতা
সারা বিশ্বের দেশগুলির এখন একটাই সাধারণ শত্রু, করোনাভাইরাস। কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছে, ধ্বংস মুখে বিশ্ব-অর্থনীতিও। এই শত্রুকে পরাস্ত করার মতো কোন অস্ত্র এখনও বের করে উঠতে পারা যায়নি। তবে বিশ্বজুড়ে ১০০ টিরও বেশি ভ্যাকসিন বা টিকা বিকাশ ও তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে টিকাটি বের হলে, যেই দেশ সেই টিকা আবিষ্কার করবে, তারাই কি তার সুবিধা পাবে? এমনটা অন্তত চাইছেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং আরও বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা। করোনার টিকায় সব দেশের সমান অধিকার থাকুক, এটাই চাইছেন তাঁরা।
- FB
- TW
- Linkdin
স্পেন, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ আটটি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার ট্রুডো এই বিষয়ে একটি নিবন্ধে সাক্ষর করেছেন। সেই নিবন্ধে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন বিকাশ ও বিতরণে বিশ্বের সমস্ত দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী টুইট করে জানান, এই ভ্যাকসিন সারা বিশ্বের মানুষের প্রাণ বাঁচাবে। এর জন্যই সারা বিশ্বের সমস্ত দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই টিকার সন্ধানে দিনরাত কাজ করছে। যখন টিকাটি পাওয়া যাবে, তখন-ও একইরকম সহযোগিতা বজায় রাখা উচিত। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ, যাতে তার সমান সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কে কোথায় থাকে, সেটা তিনি বাঁচবেন কি বাঁচবেন না - তা ঠিক করে দিতে পারে না।
এদিন এই অঙ্গীকারপত্রে জাস্টিন ট্রুডো ছাড়া স্বাক্ষর করেছেন, ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সাহলে-ওয়ার্ক জেভেদে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন, নিউজিল্য়ান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, স্পেনিয় প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ, সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোভেন, তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এলিজ ফাখফাখ। একইসঙ্গে তাঁরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতাদেরও এই বিষয়ে একমত হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বিশ্বনেতারা আরও বলেছেন, টিকাই 'সবচেয়ে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্যগত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম'। তাই বিশ্ববাসীর নজর রাখতে হবে, এই টিকা সুবিধা পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অসাম্য যেন বেড়ে না যায়। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের সমবন্টন যদি সফল হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতে বহুপক্ষীয়তার জোরদার ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।
কোভিড-১৯ টিকা তৈরির ক্ষেত্রে বর্তমানে দারুণ অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। রাশিয়ার একটি টিকা প্রার্থী তো অগাস্টেই টিকা বাজারে আনার দাবি করেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটির মানবদেহে পরীক্ষাপ সাফল্যের কথা ঘোষণা করা হতে পারে বৃহস্পতিবারই। আবার মার্কিন বায়োটেক সংস্থা মোদেরনা-ও বুধবার জানিয়েছে ২৭ জুলাই তারা মানবদেহে পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করবে। পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় সংস্থাগুলিও।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান অবশ্য অনেক আগেই দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে রাষ্ট্রসংঘের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি আগামী দিনে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আবিষ্কারগুলিকে ভৌগলিক সীমানাহীন করার কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন এই সব আবিষ্কার সব দেশে সমানভাবে ভাগ করে দিতে হবে।