- Home
- World News
- International News
- সুমেরুর বরফের তাক ভেঙে চুরমার, উষ্ণায়ন নিয়ে আরও অস্বস্তি বাড়াল বিজ্ঞানীদের
সুমেরুর বরফের তাক ভেঙে চুরমার, উষ্ণায়ন নিয়ে আরও অস্বস্তি বাড়াল বিজ্ঞানীদের
উষ্ণায়নের ভয়ঙ্কর পরিণতির সাক্ষী রইল বিশ্ব। করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণের সময় যখন প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়েই চলছে লকডাউন তখনও বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত থেকে রেহাই পাওয়া গেল না। ভেঙে দু টুকরো হয়ে গেল কানাডার আর্কটিক বা বিশ্বের কাছে সুমেরু অঞ্চলের সর্বশেষ সম্পূর্ণ অক্ষত বরফের তাক বলে পরিচিত। মিলন আইস শেল্ফ উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে অবস্থিত। এলেস্মির দ্বীপের সীমানায় রয়েছে এই এলাকায়। গত রবিবারই কানাডিয়ার আইস সার্ভিস ক্ষয়ক্ষতির কথা ঘোষণা করেছে। উপগ্রহ চিত্রেও সেই ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
এতদিন ধরেই অক্ষত ছিল আর্কটিকের সর্বশেষ সম্পূর্ণ বরফের তাকটি। কিন্তু রবিবারই এটি ভেঙে দুটুকরো ভেঙে যায়। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে সেই ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি।
এই এলাকায় প্রায় ৮০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে একটি ভাসমান ব্লক তৈরি করে। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এটি নিজে থেকেই দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে বরফের টুকরো গুলি সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতদিন ধরে দ্বীপটি বিস্তৃত তাক দ্বারা আবদ্ধ ছিল। যা একক কাঠমোর দ্বারা একসঙ্গে ছিল। কিন্তু এই বরফের তাকটি ভেঙে যাওয়ার পর রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ শকতের শুরুতে ৮৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল এই হিমবাহ। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে তা গলে যেতে শুরু করেছে। বর্তমানে তা ১.০৫০ বর্গ কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে।
২০০৩, ২০০৫, ২০০৮, ২০১১ পর ২০২০ সালে ধীরে ধীরে ভেঙেছে । বর্তমানে ৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার নিচে নেমে এসেছে বরফের এই তাকটি। জুলাই মাসের শেষ দুদিনে ৪০ শতাংশ বরফ গলে গেছে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে মিলন আইস সেল্ফের আয়তন ১০৬ বর্গ কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে। এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম বরফের তাক। কিন্তু বর্তমানে এটিও বিচ্ছিন হয়ে গেল। আর সেই কারণে আগামী দিনে জলবায়ুতে এরই প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আর্কটিকের গলে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের বিশ্ব উষ্ণয়নকেই দায়ি করেছেন। তাঁদের কথায় গত ৩০ বছর ধরে ক্রমশই উষ্ণ হয়ে পড়ছে এই এলাকা। দ্রুত হারে গলতে শুরু করেছে হিমবাহ।
বিজ্ঞানীদের কথায় ৩০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হারে উষ্ণ হয়েছে আর্কটিক। এবছরও মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল অত্যান্ত তীব্র। গত জুলাইয়ে মেরু সমুদ্রের বরফের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছিল দাবানল। যা সাইবেরিয়ান রাশিয়াকে বিপর্যস্ত করেছিল।
এক বিজ্ঞানীর কথায় এবছর গ্রীষ্ণে আর্কটিকের তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের গড়ের তুলনায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
এই বৃহত্তর হিমবাহকে নিমেষে ঠান্ডা করার কোনও প্রক্রিয়া নেই। তাই ধীরে ধীরে হিমবাহটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।