- Home
- World News
- International News
- 'ভারত উদার হয়েছে আর অন্যেরা ভ্যাকসিন পাচ্ছে', টিকা কূটনীতি প্রশংসায় বিদেশীরা
'ভারত উদার হয়েছে আর অন্যেরা ভ্যাকসিন পাচ্ছে', টিকা কূটনীতি প্রশংসায় বিদেশীরা
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধের ভারতের লড়াইকে রীতিমত সম্মান জানাল ক্যারিবিয়ান দেশগুলি। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে প্রতিষেধক পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের প্রশংসাও করা হয়েছে। অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার অ্যাম্বসেডর রোনাল্ড সেনডার্সের উপস্থিতিতে আমেরিকান স্টেটস অব পারমানেন্ট কাউন্সিল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ন্যায় সংগত বিতরণের উপর একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করেছে।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধের ভারতের লড়াইকে রীতিমত সম্মান জানাল ক্যারিবিয়ান দেশগুলি। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে প্রতিষেধক পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের প্রশংসাও করা হয়েছে। অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার অ্যাম্বসেডর রোনাল্ড সেনডার্সের উপস্থিতিতে আমেরিকান স্টেটস অব পারমানেন্ট কাউন্সিল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ন্যায় সংগত বিতরণের উপর একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করেছে। CARICOM এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১৪টি দেশ। যেখানে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতকেও করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক সরবরাহের জন্য প্রশংসা করা হয়েছে।
এশিয়ানের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় রাষ্ট্রদূত সেন্ডার্স জানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারত ক্যারিবিয়ান দেশগুলির পাশে দাঁড়িয়েছিল। উন্নত দেশগুলির মতই ছিল ভারতের প্রদর্শন। বিশ্বের যে জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই টিকা পেয়েছে তার মধ্যে ১৫ শতাংশই ভারতের টিকা পেয়েছে। এটি প্রমান করে করে ভারত আন্তরিকভাবে টিকা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন ভারত ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও শর্ত আরোপ করেনি। প্রস্তাবে প্রতিশেধক উৎপাদনকারী দেশগুলিকে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিতরনে জোর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কম টাকায় দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক সরবরাহের ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
The 14 CARICOM States also included India's name in its resolution for generously supplying beneficial quantities of the vaccines to several Caribbean countries.
CARICOM -র প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, OAS, এর সদস্যভুক্ত ৩৪টি দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮শতাংশ। এটি বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলির হাতে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধকের স্টক নেই। কিছু উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। প্রতিষেধকের খোঁজে তারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মরিয়া হয়ে খোঁজ চালাচ্ছে।
ভারতের হাইকমিশনের ডিকে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, এই বিবৃতি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সাধারণ অনুভূতির প্রতিধ্বনি বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব ফার্মেসি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভারত। আর সেই কারণে ভারত দ্রুত দেশগুলিকে দ্রুত টিকা সরবরাহের করতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে। ভারত সরকারও রীতিমত জোর দিচ্ছে ভ্যাকসিন মৈত্রীর ওপর। ভ্যাকসিন সরবরাহে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ভারত।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয় অ্যান্টিগুয়া আর বারবুডার কূটনীতিকরা সাবধান করছেন, বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ
চলতি বছর মাঝামাঝি সময় দেশের সব নাগরিকদের টিকাকরণ সম্পন্ন করতে পারবেন বলেও দাবি করছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলি সমস্যায় পড়বে। একই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি করবে। এটি জাপান ও জার্মানির বার্ষিক আউটপুটের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর সেই কারণে কেউই লাভবান হবে না বলেও দাবি করা হয়েছে।