- Home
- World News
- International News
- ভারতের দ্বিতীয় ডিজিট্যাল প্রত্যাঘাতে ফুঁসছে দিশেহারা চিন, সিদ্ধান্ত বদলাতে হুঁশিয়ারি বেজিংয়ের
ভারতের দ্বিতীয় ডিজিট্যাল প্রত্যাঘাতে ফুঁসছে দিশেহারা চিন, সিদ্ধান্ত বদলাতে হুঁশিয়ারি বেজিংয়ের
গত জুন মাসে লাদাখ নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা চলার সময় চিনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। দুই দেসের মধ্যে পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হলেও চিনের প্রতি ডিজিট্যাল প্রঘ্যাত বন্ধ করেনি ভারত। তাই চলতি সপ্তাহেই নতুন করে চিনের আরও ৪৭টি অ্যাপ ব্যান করেছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে টিক টক, উই চ্যাট সহ একাধিক জনপ্রিয় অ্যাপ। দেশের একের পর এক অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এবার তাই নখ, দাঁত বাড় করতে শুরু করেছে চিন রীতিমতো হুমকির সুরে নয়াদিল্লিতে চিনা দূতাবাস বলছে, ভুল শুধরে নিক ভারত।
| Published : Jul 29 2020, 12:17 PM IST / Updated: Jul 29 2020, 12:38 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সম্প্রতি ৪৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। দ্বিতীয় দফায় করা ভারতের এই ডিডিট্যাল স্ট্রাইকের কড়া প্রতিবাদ করল বেজিং। নয়াদিল্লিকে রীতিমতো হুমকির সুরে চিনা দূতাবাস বলেছে, 'ভুল শুধরে নিন’।
চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, ভারতের উইচ্যাট-সহ চিনা অ্যাপ ব্যান করে দেওয়া ঠিক হয়নি। তা তুলে নেওয়া উচিৎ। পাশাপাশি চিনা ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
চিন বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা একটি 'ইচ্ছাকৃত হস্তক্ষেপ'। ব্যবসার রক্ষার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
জাতীয় স্বার্থের ক্ষতিকারক হওয়ায় চিনের কিছু অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার পরিপ্রেক্ষিতে চিনের সংস্থাগুলির পক্ষে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বেজিং।
জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে ক্ষতিকারক— এই অভিযোগে গত ২৯ জুন টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় ভারত সরকার। তখনও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং। এর পর গত সোমবার আরও ৪৭টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এই অ্যাপগুলি মূলত আগের নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির ক্লোন হিসেবে কাজ করছিল। সেগুলির মধ্যে রয়েছে টিকটক লাইট, হেলো লাইট, শেয়ারইট লাইট, বিগো লাইভ লাইট, ভিএফওয়াই লাইটের মতো অ্যাপ।
দ্বিতীয় দফায় এই সব অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় ফের চটেছে বেজিং। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। গত ২৯ জুন উইচ্যাট সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এরফলে, চিনা সংস্থাগুলির বৈধ অধিকার ও স্বার্থের ক্ষতি হয়েছে। চিনের তরফে ভারতের কাছে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে, এই ভুল শুধরে নিতে বলা হয়েছে। জি রং-এর হুঁশিয়ারি, চিনা সংস্থাগুলির বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বেজিং।
নিজের দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিও বার্তা দিয়েছেন জি রং। বলেছেন, ‘‘আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, চিন সরকার প্রতিনিয়ত দেশের ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করার কথা বলেছে। তবে ভারতেরও উচিত চিন-সহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইনি অধিকার সুরক্ষিত করা।’’ জোর করে বিষয়টিতে নয়াদিল্লি হস্তক্ষেপ করেছে বলেও মন্তব্য করেছে চিনা দূতাবাস।
রং হুঁশিয়াদির দিয়ে বলেছেন, ‘‘চিনা সংস্থাগুলির প্রতি এই ধরনের অর্থনৈতিক বিরুদ্ধাচরণ আদপে ভারতেরই ক্ষতি করবে।’’
অন্য দিকে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, শুধু এই ৫৯টি এবং ৪৭টি নয়, সব মিলিয়ে মন্ত্রকের আতসকাচের নীচে রয়েছে মোট ২৫০টি চিনা অ্যাপ। ফলে আরও অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লির দাবি, ভারতের নিরাপত্তা প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছিল ওই চিনা অ্যাপগুলি একইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষাও বিপন্ন হয়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে। অভিযোগ, বেজিংয়ের সঙ্গে এই তথ্য আদানপ্রদান করত অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। এই প্রেক্ষিতে চিনা সংস্থাগুলির হয়ে জোর সওয়াল করেন জি রং। তিনি বলেন, চিনা সংস্থাগুলি সর্বদা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও স্থানীয় আইন ও নিয়ন্ত্রণ মেনে চলে।