- Home
- World News
- International News
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে করোনা আক্রান্তদের জন্য, দাবি বিজ্ঞানীদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে করোনা আক্রান্তদের জন্য, দাবি বিজ্ঞানীদের
করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভুলভাবে চালিত হলে ডেকে আনতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। যা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির থেকেও বেশি বলে দাবি করেছেন একদল চিকিৎসক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা ১১৩ জন আক্রান্তকে নিয়ে সমীক্ষা করেছিলেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেরে মৃত্যু পর্যন্ত একাধিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিষয় প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করেছেন। নেচার প্রত্রিকায় ছাপা হয়েছে তাঁদের গবেষণা পত্রটি।
- FB
- TW
- Linkdin
ইয়েল বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল সার্স-কভ-২ ভাইরাসে আকান্ত রোগীদের দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ভাবে সাড়া দেয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভুলভাবে চালিত হওয়ায় কিছু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের কথায় রোগের গুরুতর ক্ষেত্রে বিকাশ করতে চলেছেন এই রোগীদের দেহে ভাইরাসের কণার মাত্রা বা ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া কমেনি। সেইসব রোগীদের দেহে সাইকোকাইন নামক অণুগুলি সহ অনেকগুলি অনাক্রম্য সংকেত ত্বরান্বিত হয়েছিল।
আর এই ঝুঁকির কারণ হল আলফা ইন্টারফেরন নামক একটি প্রতিরোধ ব্য়বস্থা। অণুর উপস্থিতি ফ্লু ভাইরাসের মত ভাইরাস জনিত প্যাথোজেনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পরিচালিত একই সাইটোকাইন।
আগের একটি গবেষণাতেও উল্লেখ করা হয়েছিল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতা করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্র ঝুঁকির মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয়। নতুন গবেষণাতে তার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
গবেষকরা বলেছেন উচ্চমাত্রার আলফা ইন্টারফেরনযুক্ত কোভিড-১৯ রোগী কম আক্রান্ত রোগীর তুলনায় ঝুঁকির মাত্রা অনেকটাই বেশি।
সমীক্ষা অনুসারে প্রথম দিকে জটিল প্রোটিনের সক্রিয়করণ যা রোগজীবাণু সনাক্ত করে । ইনফ্ল্যামসোম নামক সংক্রমণের প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া তৈরি করলেও রোগীর পক্ষে তা খারাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গবেষকদের দাবি প্রদাহজনক অ্যাক্টিভেশন বেশ কয়েকজন রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সমস্তদিক বিবেচনা করে নির্দিষ্ট বিষয়গুলি লক্ষ্য করে রোগীদের ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনে এই গবেষণা করা হয়েছে। ১১৩ জন রোগীকে সক্ষীমার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।
গবেষকদের দাবি যারা মাঝারি উপসর্গ মুমোমুখি হয়েছিল তারা সময়ের সাধে সাথে তাদের দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া ও ভাইরাল কণার মাত্রা হ্রাস করে দেখার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গবেষণায়।