- Home
- World News
- International News
- লকডাউন তোলার একমাস কাটতে না কাটতেই বিপত্তি, ফের করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ উহানে
লকডাউন তোলার একমাস কাটতে না কাটতেই বিপত্তি, ফের করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ উহানে
- FB
- TW
- Linkdin
বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছিল চিন। করোনার উৎপত্তিস্থল চিনে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু কিছুতেই একেবারে নির্মূল করা যাচ্ছে না এই মারণ ভাইরাসকে। সাম্প্রতিক সময়ে চিনের নানা প্রান্ত থেকে বার বার ফিরে আসছে করোনা আতঙ্ক।
গত ২৪ ঘণ্টায় চিনে নতুন করে ১৭ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন ভাইরাসটির উৎসস্থল উহানের বাসিন্দা। শহরটিতে গত ৩ এপ্রিলের পর এটাই প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মিলল।
গত ৩ এপ্রিল শেষবার করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল উহানে। এরপর থেকে একরকম করোনামুক্ত হয়ে গিয়েছিল উহান। কিন্তু এবার ফের আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ায় আতঙ্ক বাড়ল।
৭৬ দিনের লকডাউন শেষে গত ৮ এপ্রিল উহানের সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে উহান শহরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০ হাজার ৩৩৪ জন।
শহরটি থেকে লকডাউন তুলে দেওয়ার প্রায় এক মাস পর আবার নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বরের শেষদিকে উহানেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
লকডাউন তুলে নেওয়ায় শহরটিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, বেড়েছে জনসমাগম। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে সংক্রমণ রোগটি ব্যাপকভাবে ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উহান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে করোনার ক্লাস্টার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত পাঁচজন একই আবাসিক কমপাউন্ডের মধ্যে বাস করেন।
৮৯ বছরের এক বৃদ্ধের শরীরে রবিবার প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। ওই ব্যক্তিক স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত, তবে তাঁর কোনোও উপসর্গ নেই।
গত দুই মাসে নতুন সংক্রমণগুলো চীনের আবাসিক এলাকা ও হাসপাতালেই দেখা গেছে।
মার্চ থেকে উহানে ভাইরাসের দাপট কমতে শুরু করেছিল। সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল সেখানে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার চিনের সরকার সমগ্র দেশকে নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার ২ দিন বাদেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
উহানে শনাক্ত নতুন আক্রান্তদের উপসর্গ আগে ধরা পড়েনি বলে চীনের হেলথ কমিশন জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই অঞ্চলে অন্তত ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।মনে করা হচ্ছে, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ বা গোষ্ঠী সংক্রমণের ফলেই নতুন করে উহানে ফিরল এই মারণ ভাইরাস। যদিও চিনের জাতীয় ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কমিশন উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্তদের সরকারি তালিকাভূক্ত করে না।
চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দেশটিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৯১৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৩ জনের।
চিনা সরকার শুক্রবারই জানিয়েছে, দেশটিতে ধীরে ধীরে সিনেমাহল, জাদুঘর এবং অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলি চালু করা হবে। যদিও বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।