- Home
- World News
- International News
- সাবধান, 'করোনাভাইরাস বায়ু-বাহিত', ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে 'হু'
সাবধান, 'করোনাভাইরাস বায়ু-বাহিত', ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে 'হু'
বিশ্বে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের দাপট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো বারবার হাত ধুয়ে, বিভিন্ন তল স্যানিটাইজ করেও মিলছে না প্রত্যাশিত ফল। রেস্তোরাঁ, অফিস, বাজার, কাফে - বিভিন্ন জায়গায় সংক্রামিত হচ্ছেন মানুষ। আর ক্রমেই সন্দেহটা দানা বাঁধছে, তাহলে কি বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু অবশ্য এই বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করেছে। কিন্তু এবার তাদের পড়তে হল ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে।
- FB
- TW
- Linkdin
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি
মহামারির একেবারে শুরুর দিন থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে এই নতুন করোনাভাইরাস ছড়ায় না। এটা মূলতঃ ছড়ায় হাঁচি, কাশি বা কথা বলার সময় মুখ থেকে বের হওয়া ড্রপলেটস অর্থাৎ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণার মাধ্যমে। এমনকী ২৯ জুন তাদের সর্বশেষ মহামারি নির্দেশিকাতেও জোর দেওয়া হয়েছে, কোনও তল থেকে সংক্রমণ হ্রাসে বারবার হাত ধোওয়ার উপর।
২৩৯ বিজ্ঞানীর খোলা চিঠি
সম্প্রতি ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী যৌথভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে একটি খোলা চিঠি দিয়ে, তাদের নির্দেশিকা পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। তাঁদের দাবি একেবারে ক্ষুদ্রাদিক্ষুদ্র কণার মাধ্যমেও বা বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়, তার নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে তাঁদের কাছে। এই বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে বাহিত হয়, আর নাক দিয়ে সেই বাতাস টেনে নিলেই কেউ সংক্রামিত হতে পারে।
গবেষণাগারে অবশ্য বাতাস থেকে তৈরি হয়নি ভাইরাস
এর আগে বহু বিজ্ঞানী হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে বাতাসের নমুনা নিয়ে তার থেকে গবেষণাগারে নতুন করোনাভাইরাসটি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সাফল্য আসেনি। তবে বাতাসের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায়, এই তত্ত্বের দাবিদাররা বলছেন, হাসপাতালের বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ভালো থাকে। তাই সেখানকার বাতাসে বেশি পরিমাণ ভাইরাস জড়ো হতে পারে না। কিন্তু, অফিস-রেস্তোরাঁর মতো আবদ্ধ জায়গায়, যেখানে বায়ু চলাচল ব্যবস্তা খুব ভালো নয়, সেখানকার বাতাসে ভাইরাসটি জমা হতে হতে সংক্রমণ ঘটানোর মতো জায়গায় চলে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জবাব
এই খোলা চিঠির প্রেক্ষিতে এখনও সরকারিভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে দিন কয়েক আগেই তাঁদের এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দাবি করেছিলেন, প্রথম থেকেই বিশেষ করে সাম্প্রতিনক সপ্তাহগুলিতে ভাইরাসটি বাতাসের মাধ্যমে বাহিত হয় কিনা, সেই সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা গবেষণা চালিয়েছেন। কিন্তু, এই তত্ত্বের সাপেক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি।
কোথায় ভুল হচ্ছে 'হু'-এর?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, 'হু'-এর কোনও দোষ নেই। তাদের উদ্দেশ্য অবশ্যই সৎ, কিন্তু তা সফল করার সামর্থ নেই তাদের হাতে। তারা এখনও বেশ মান্ধাতা আমলের কিছু ধ্যান-ধারণা নিয়ে চলে। সেই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘাড়ে একের পর এক বোঝা চাপছে, কিন্তু, সেই মতো কাজ করার জন্য যে তহবিল প্রয়োজন, তাই নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া সামলাতে হয় আমেরিকা-চিনের রাজনৈতিক খেলাও।