- Home
- World News
- International News
- কোথাও হাসপাতালেই উদযাপন, কোথাও ভিডিওয় প্রার্থনা - ছবিতে ছবিতে দেখুন কোভিড বিশ্বের ক্রিসমাস
কোথাও হাসপাতালেই উদযাপন, কোথাও ভিডিওয় প্রার্থনা - ছবিতে ছবিতে দেখুন কোভিড বিশ্বের ক্রিসমাস
বড়দিন মানেই যেন বছরের শেষ কয়েকটা দিনের গণনা শুরু। মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও, বর্তমানে বড়দিন এক বৃহত্তর সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে ২০২০ সালটা তো আর ৫টা বছরের মতো নয়। বছরের শেষে অনেক জায়গাতেই কোভিড মহামারির দাপট নতুন করে বাড়ছে। তারমধ্যে আর ভয় ধরিয়েছে, গত কয়েকদিনে পরপর করোনার বেশ কয়েকটি আরও সংক্রামক রূপভেদ আবিষ্কার। তবে তারমধ্যেই বিশ্বব্যপী পালিত হল বড়দিন। কোথাও মাস্ক পড়ে দেখা গেল পাদরিদের, কোথাও বা হাসপাতালের কর্মীরা আনন্দে মেতে উঠলেন রোগীদের সঙ্গেই। ছবিতে ছবিতে দেখে নেওয়া যাক কোভিড বিশ্বে কীভাবে পালিত হল বড়দিন
| Published : Dec 26 2020, 08:54 PM IST / Updated: Dec 28 2020, 12:17 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ট্রাফালগার স্কোয়ারে ক্রিসমাস উপলক্ষে সাজসজ্জা থাকলেও, সেসব ঘিরে ছিল না পরিচিত লোকের ভিড়। গত সপ্তাহেই, ব্রিটিশ সরকার ফের লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়েছে। তার ছাপ পড়েছে ক্রিসমাসেও
স্পেনের বার্সেলোনায় এক হাসপাতালে ক্রিসমাসের দিন কোভিড ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গেই ক্রিসমাস উদযাপন করতে দেখা যায় ফ্রন্টলাইন কর্মীদের। নার্সরা লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে রোগীদের তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। নার্সদের মাথায় ছিল সান্টা ক্লজের টুপি। স্পেনেও ক্রিসমাসের জমায়েত নিষিদ্ধ ছিল।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে কোভিড মহামারির প্রেক্ষিতে চার্চের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রিসমাস উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটিতে রাস্তায় ক্রিসমাস সজ্জা থাকলেও, তা উপভোগ করার মতো যথেষ্ট মানুষ ছিল না রাস্তায়।
জাপানের টোকিও-তে ক্রিসমাসের দিন প্রার্থনার সময় পাদরি ও চার্চে আগত সকলকে মাস্ক পরেই দেখা গিয়েছে। মহামারী ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা মতো পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিসমাসের উদযাপনেও বেশ কিছু কাটছাঁট করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে আবার একেবারে ফাঁকা চার্চ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিচালিত হয় ক্রিসমাসের প্রার্থনা।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অন্যান্য বছর ক্রিসমাসের সময় সমুদ্র সৈকতগুলি পর্যচকদের ভিড়ে গিজগিজ করে। এবার সেখানে রয়েছে 'স্টে অ্যাট হোম' সাইনবোর্ড।
কিছুটা অন্য চিত্র দেখা গিয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়-এ। করোনভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যতম সফল দেশ ভিয়েতনাম। প্রধানত বৌদ্ধ অধ্যুষিত ভিয়েতনামের ক্রিসমাসে সরকারি ছুটি না থাকলেও, রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল দেখা গিয়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে ক্রিস্টমাসের দিনে হাসপাতালেই ক্রিসমাস ট্রি ও খাবার দাবার আনিয়ে উদযাপন করেন ফ্রন্টলাইন কর্মীরা।
থাইল্যান্ডে আবার সান্টা ক্লজের পোশাকে দেখা গিয়েছে হাতিদের। এই বিশেষ সাজে সজ্জিত হাতি সান্টারা অবশ্য শিশুদের উপহার দেওয়ার বদলে দিয়েছে মাস্ক।
বুলগেরিয়ার সোফিয়া-য় হাসপাতালে চিকিৎসক এবং রোগীদের ক্রিসমাসের উপহার দেন নার্সরা।
করোনার ভয়ের মধ্যেই স্পেনের মাদ্রিদে এক নার্সারি হাউসে আবাসিক এবং কর্মচারীরা একসঙ্গে উদযাপন করেন ক্রিসমাস। স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা কতো ছিলই, যেসব সঙ্গীতশিল্পীরা পারফর্ম করেন, তাঁদের সকলের কোভিড -১৯ পিসিআর পরীক্ষাও করানো হয়। আবাসিকদের আত্মীয়দেরও একই পদ্ধতি মেনে আসার অনুমতি দেওয়া হয়।
জার্মানির বার্লিনে করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যে গির্জার সামনে বিকল্প পথে ক্রিসমাস উদযাপন করা হয়। রাস্তাতে সাজসজ্জা থাকলেও মানুষ ছিলেন না বিশেষ।
ইন্দোনেশিয়ায় চার্চের দরজা বন্ধ না থাকলেও, দর্শনার্থীদের সকলকে পিপিই স্যুট পরিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়।
ইতালির ভেনিস শহরের রাস্তায় ক্রিসমাসের আলোকসজ্জা থাকলেও মহামারি ছায়ায়, তা ছিল নেহাতই ম্যাড়মেড়ে।