- Home
- World News
- International News
- বিশ্বমঞ্চে ফের শোচনীয় পরাজয় জিনপিংয়ের, চিনকে হারিয় রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলের সদস্য ভারত
বিশ্বমঞ্চে ফের শোচনীয় পরাজয় জিনপিংয়ের, চিনকে হারিয় রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলের সদস্য ভারত
ফের ভারতের কাছে হারতে হল চিনকে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, এবার পরাজয় একেবারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। রাষ্ট্রসংঘের নারী ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য পদে বিপুল ভোটে জয় পেল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল (ইসিওএসওসি)-র সংস্থার কমিশন অন স্ট্যাটাস অফ উইমেন (সিএসডব্লু)-র সদস্য নির্বাচিত হল ভারত।
- FB
- TW
- Linkdin
রাষ্ট্রসংঘের নারী ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য কে হবে, তার জন্য লড়াই চলছিল ভারত, আফগানিস্তান ও চিনের মধ্যে। লড়াইয়ে আফগানিস্তানকিছুক্ষণ টিকে থাকলেও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারল না চিন। রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিলের আওতায় থাকা 'ইউনাইটেড নেশনস কমিশন অন স্ট্যাটাস অফ ওম্যান' এ জায়গা করে নিল ভারত।
চিনকে মাত দিয়ে ভারতের বড়সড় জয় মুঠোবন্দি করার কথা জানালেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল বিভাগের কমিশন অফ স্ট্যাটাস অফ উইমেনের সদস্য পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে ভারত।
সারা বিশ্বে নারী ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সাম্য রক্ষায় কাজ করে রাষ্ট্রসংঘের এই কমিশন। ভারত চার বছরের জন্য তার সদস্য পদে জয়ী হল।
ভারত রাষ্ট্রসংঘের এই মর্যাদাপূর্ণ সংস্থায় ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চার বছর সদস্য থাকবে।
রাষ্ট্রসংঘের কমিশন অন স্ট্যাটাস অফ উইমেনের সদস্য নির্বাচনে ভারত, চিন ও আফগানিস্তান সহ তিনটি দেশ অংশ নিয়েছিল। ৫৪ সদস্যের অধিকাংশ ভোটই পেয়েছে ভারত ও আফগানিস্তান। ড্রাগনের দেশ ধোপে টেকেনি।
চলতি বছরই চিনের রাজধানী বেজিংয়ের বিশ্ব কনফারেন্স অন উইমেনের ২৫তম বছর আয়োজিক হতে চলেছে । তার আগে রাষ্ট্রসংঘে এই হার চিনের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের অসন্তোষের প্রমাণ দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চিনের ভূমিকাকে দায়ী করছেন।
অনেকেরই ধারণা, চিনের উহান শহরই করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর। করোনা রুখতে বা এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে চিনে যে গড়িমসি করেছে, সেটাই বিভিন্ন দেশের চিনের প্রতি অসন্তোষের মূল কারণ।
চলতি বছরেই ১৮ জুন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদরে অস্থায়ী সদস্য হিসাবে ভারত নির্বাচিত হয়। ১৯২ টি দেশের মধ্যে ১৮৪ টি ভোট পায় ভারত। এর আগে ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদরে অস্থায়ী সদস্য হিসাবে ৭ বার নির্বাচিত হয়েছে।