- Home
- World News
- International News
- চিনের ল্যাবেই তৈরি হয়েছে মারণ করোনা, দেশের ভাইরোলজিস্টের দাবিতে মুখ পুড়ল জিনপিংয়ের
চিনের ল্যাবেই তৈরি হয়েছে মারণ করোনা, দেশের ভাইরোলজিস্টের দাবিতে মুখ পুড়ল জিনপিংয়ের
সমগ্র বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে মারণ। এই ভাইরাসের দাপটে বিশ্ব তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। চিনকে এই মহামারির কারণে প্রথম থেকেই দোষারোপ করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন তাবড় তাবড় নেতৃত্বরাও। কিন্তু সম্প্রতিকালে এক চিনা ভাইরোলজিস্ট এই মহামারি ভাইরাসের বিষয়ে এমন এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, যাতে একেবারে বেকায়দায় চিনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং।
- FB
- TW
- Linkdin
ইচ্ছাকৃতভাবে চিন করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এমন দাবি আগেও উঠেছে একাধিকবার। এবার চিন থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভাইরোলজিস্ট দাবি করলেন, তিনি প্রমাণ করে দেবেন যে করোনা ভাইরাস ‘ম্যান-মেড।’
লি মেং ইয়ান নামে ওই ভাইরোলজিস্ট বলেন, বেজিং করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অনেক আগেই থেকেই সবকিছু জানত।
চিন সরকারকে দোষারোপ করে ইয়ান বলেছেন, তাঁর কাছে এমন কিছু তথ্য আছে, যার দ্বারা তিনি প্রমাণ করে দিতে পারবেন এই করোনা ভাইরাস চিনের মানব দ্বারা সৃষ্ট ভাইরাস।
তিনি আরও দাবী করেছেন, উহানের সি ফুড মার্কেট থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি। তাঁর কথায়, এই ভাইরাস চিনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে। এই ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স মানুষের আঙুলের মুদ্রণের মতো। এর দ্বারাও প্রমাণিত হয় এটি মানবসৃষ্ট ভাইরাস।
হংকংয়ে জন্ম নেওয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান বর্তমানে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বছরের শুরুতে তাকে চিন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালান তিনি। ব্রিটিশ একটি টকশোতে হাজির হয়ে তিনি নতুন করে এই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ভাইরাসটি চিনের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে আর সেই ল্যাব নিয়ন্ত্রণ করে চিনের সরকার।
চিন দাবি করেছে, উহানের স্থানীয় একটি বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সে কথা অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা কথা বলে তিনি প্রমাণ পেয়েছেন, এই ভাইরাস চিনের ল্যাবেই তৈরি হয়েছে।
ইয়ান নিজের দাবি ব্যাখ্যা করে বলেন, ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্স মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো। এর ভিত্তিতে আপনারা এই বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন। আমি এই প্রমাণ ব্যবহার করে মানুষকে জানিয়ে দেবো কেন চিনের ল্যাবে এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে এবং কেন তারা এটি তৈরি করেছে। জীববিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকলেও যে কেউ তা পড়তে পারবেন এবং নিজেই তা যাচাই করতে পারবেন।
এর আগে তিনি দাবি করেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে মিথ্যা বলেছে চিন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কথা অনেক আগে জানতে পেরেও রোগটির বিষয়ে সঠিক তথ্য গোপন রাখা হয়।
ইয়ান জানান, চিনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ ছডিয়ে পড়ার সময় প্রথমদিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে চুপ থাকতে সতর্ক করা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়বো এবং গুম হয়ে যাবো।
তাঁর সব তথ্য মুছে ফেলেছে চিনের সরকার। এমনটাই অভিযোগ হংকং ইউনিভার্সিটির ওই গবেষকের। তাঁর নামে মিথ্যা রটানো হচ্ছে বলে চিনের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ লি মেং ইয়ানের।