- Home
- World News
- International News
- গত ৬ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বিশ্বে, এপ্রিলের পর ফের সর্বোচ্চ সংক্রমণ চিনে
গত ৬ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বিশ্বে, এপ্রিলের পর ফের সর্বোচ্চ সংক্রমণ চিনে
বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারীর পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। গত ছয় সপ্তাহে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এমনই আশঙ্কার খবর শোনাচ্ছেন হু-র ডাইরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াসস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব বলছেন, করোনা ভাইরাসের মহামারিতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ঘোষিত সকল জরুরী অবস্থার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর।
- FB
- TW
- Linkdin
এখন পর্যন্ত যতো জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারী ‘সবচেয়ে গুরুতর’ বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে হু-র ডাইরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াসস বলেন, বিশ্বে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখেরও বেসি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৪০ হাজারের বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারী পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হওয়া অব্যাহত আছে। গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মহামারী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে সংস্থাটির জরুরি কমিটির বৈঠক ডেকেছেন ট্রেড্রোস।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় গত জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই জরুরি অবস্থায় পরিবর্তন আনার কোনও সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছে 'হু'।
টেড্রোস বলেন, বিশ্বে ব্যাপক প্রচেষ্টা নেয়া স্বত্ত্বেও আমাদের সামনে এখনও দীর্ঘ কঠিন পথ রয়েছে। সীমান্ত বন্ধ এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি বিষয়ক পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেন, এসব ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ছিল না।
করোনাভাইরাসের মহামারির প্রাদুর্ভাব কিছু দেশে নতুন করে শুরু হওয়ায় লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে স্বীকার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। তবে যতটুকু সম্ভব এগুলো খুবই সংক্ষিপ্ত এবং নির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ডা. রায়ান বলেন, ভাইরাসটি সম্পর্কে যত বেশি বোঝাপড়া তৈরি হবে, ততবেশি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চননের উহানে প্রাণঘাতী করোনার উৎপত্তি হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি।
এদিকে চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এপ্রিলের পর জুলাইয়ের একেবারে শেষে ফের করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটল চিনে। সোমবার নতুন করে দেশটিতে ৬১ জনের শরীরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। দেশের মোট ৩টি এলাকা থেকে এই করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে।
চিনের ‘ন্যাশনাল হেলথ কমিশন’-এর তথ্য অনুযায়ী, ৬১ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ জনই উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলের বাসিন্দা। উত্তর পশ্চিম চিনের শিনজিয়ান শহরেও নতুন করে ছড়াতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস।
গত সপ্তাহেই চিনের লিয়োনিংয়ের উত্তর-পূর্ব এলাকায় ১৪টি নতুন করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। গত সপ্তাহেই শিনজিয়ান শহরের রাজধানী উরুমকিতে ৪৭ জনেরও বেশি মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
উত্তর পশ্চিম চিনের এলাকাগুলিতেও নতুন করে করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে। করোনার সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম পরিবহনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মহামারী সংক্রান্ত আইন ভাঙলে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।