- Home
- World News
- International News
- চিনের পাল্লায় পড়ে এবার ফের বেয়াদপি নেপালের, নৈনিতাল ও দেরাদুনকে নিজের ভূখণ্ড বলে আজব দাবি
চিনের পাল্লায় পড়ে এবার ফের বেয়াদপি নেপালের, নৈনিতাল ও দেরাদুনকে নিজের ভূখণ্ড বলে আজব দাবি
কয়েকমাস আগে লিপুলেখ ও কালাপানি-সহ তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ড নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের সঙ্গে বিবাদের সূচনা করেছিল একদা বন্ধু নেপাল। এবার ভারতের বিরুদ্ধে ফের ভূখণ্ড নিয়ে সুর চড়ালো নেপাল। ভারতের নৈনিতাল এবং দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দেশটি।
- FB
- TW
- Linkdin
কালাপানির পর এবার উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করল নেপাল।
গত জুন মাসেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়েছিল নেপাল। সে দেশের সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ জাতীয় সভা'তেও পাশ হয়ে গিয়েছিল নতুন মানচিত্র বিল।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ - তিনটি ভূখণ্ডকে নিজেদের দাবি করে নয়া মানচিত্র তৈরি করেছে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। বিতর্কিত সেই মানচিত্রে সবুজ সংকেতও দেয় নেপালের সংসদের উচ্চকক্ষ। এবার উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করল তারা।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
সম্প্রতি দেশের শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনিফায়েড নেপাল ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গ্রেটার নেপাল ক্যাম্পেনিং শুরু করেছে। যাতে ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির আগে নেপালের যে ম্যাপ ছিল তার প্রচার করা হচ্ছে।
ওই ম্যাপের ছবিতে থাকা উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকী সিকিমের বড় বড় শহরকে পর্যন্ত নিজেদের বলে দাবি করছে তারা। নেপালের সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রচুর নেপালি যুবক-যুবতীদের এই ক্যাম্পেনিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গ্রেটার নেপাল নামে একটি ফেসবুক পেজও খোলা হয়েছে। শাসকদলের একটি অংশ সক্রিয় রয়েছে ট্যুইটারেও।
এই কাজে গ্রেটার নেপাল ইউটিউব চ্যানেলে নেপালিদের পাশাপাশি পাকিস্তানের যুবক-যুবতীদেরও ভারতের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোর কাজে লাগানো হচ্ছে। পাকিস্তানের যুবক-যুবতীরা ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার করার সময় নিজেদের ছবির বদলে পারভেজ মুশারফ, নওয়াজ শরিফ ও পাকিস্তানের পতাকার ছবি ব্যবহার করছে।
কমিউনিস্ট পার্টি নেপালের ক্ষমতা আসার পর থেকেই গ্রেটার নেপাল নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রসংঘে এই বিষয়ে দাবিও জানিয়েছিল কাঠমাণ্ডু। যদিও তা ধোপে টেকেনি। কিন্তু, চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ত খারাপ হতেই ফের গতি পেয়েছে গ্রেটার নেপাল কর্মসূচি।
পর্যবেক্ষক মহলের একটা বড় অংশই অবশ্য বলছেন, সীমান্ত নিয়ে নেপালের সাম্প্রতিক এই অতিসক্রিয়তার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে বেজিং প্রশাসন। কাঠমান্ডুতে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নেপালের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা উত্তোরত্তর বেড়েছে।