এ কী চেহারা হয়েছে, ছিপছিপে, রোগা কিম জং উনকে দেখে অবাক উত্তর কোরিয়া
- FB
- TW
- Linkdin
সম্প্রতি সেনা বাহিনীর একটি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান তথা স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। দীর্ঘ দিন পরেই তিনি এলেন জনসমক্ষে। তবে এবার একদম অন্য চেহারের। আগের মত মেদ বহুল চেহারা আর নেই তাঁর।
দেশের মানুষ তো বটেই আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজরএ কেড়েছে কিমের ছিপছিপে চেহারা। একটি সূত্র বলছে গত কয়েক মাসে ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন কিম জং উন।
সেনা বাহিনীর প্যারেডে কিম পরেছিলেন হালকা রঙের একটি স্যুট। দেশের উৎসাহী জনতার কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রীতিমত খোস মেজাজেই দেখা গেল স্বৈরাচারী শাসককে।
এই অনুষ্ঠানে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়েছিলে কিম। পিয়ংইয়ংএ জননিরাপত্তা বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর প্যারেড ছিল। সেই অনুষ্ঠানে জওয়ানদের অভিবাদন জানান তিনি।
গত মাসেই দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল কিম প্রায় ২০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন। তার আগে জুলাই মাসেই একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই দাবি করেছিল। এদিন কিম প্রকাশ্যে আসায় তা প্রামাণ হল। প্যারেডে তাঁকে রীতিমত ঝরঝরে লাগছিল।
কেন রোগা হলেন কিম? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। একটি দল দাবি করছে দীর্ঘ দিন ধরেই ধূমপান আর ওভারওয়েটের কারণে কিমের স্বাস্থ্য ক্রমশই ভাঙছিল. সম্প্রতী হার্টের অসুখও দেখা দিয়েছিল তাঁর। দীর্ঘ দিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন তিনি।
হৃদরোগের পূর্ব ইতিহাস থাকায় তাঁকে লাইফস্টাইল বদলের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকর। সেইমত তিনি ওজন কমিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরতে চাইছেন বলেও জাবি করছে একটি সূত্র। মাঝ একবার তাঁর হাতে সুইস টাইমপিস দেখা গিয়েছিল। এটির সাহায্যে ওজনও মাপা যায়।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল মার্কিন যুক্তারাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর কিম তেমনভাবে আর পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা করেননি। অস্ত্র নিয়ে মিছিলও তেমন হয়নি উত্তর কোরিয়ায়য দীর্ঘ দিনপর এটাই সামরিক কুচকাওয়াজ বলা যেতে পারে। তবে গোয়ান্দের রিপোর্ট অনুযায়ী পরমাণু পরীক্ষাথেকে মোটেও বিরত নেই তিনি। তলে তলে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
উত্তর করিয়া প্রশাসন জানিয়েছে এই কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে কিম তাঁর ঠাকুরদা অর্থাৎ কিম ইল সুংকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে এদেন তাঁর চুলের স্টাইলও ছিল দাদুর মত। যা দেখে কিছুটা হলেও অবাক হয়েছে উত্তর কোরিয়াবাসী।
৩৭ বছরের কিম। যিনি রোগা হয়েগেছেন বলেই দাবি উত্তর কোরিয়াবাসী। একটি সূত্র বলছেন মেদঝরা কিমকে দেখে অনেকেই নাকি কেঁদে ফেলেছিলেন। মে মাসে কিম একবারও জনসমক্ষে আসেননি। তাই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।