- Home
- World News
- International News
- ধ্বংস আর হাহাকার, ইউক্রেনে রুশ হামলার এক মাস - দেখুন যুদ্ধের ধুসর ছবি
ধ্বংস আর হাহাকার, ইউক্রেনে রুশ হামলার এক মাস - দেখুন যুদ্ধের ধুসর ছবি
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। তারপর থেকে গোটা একটা মাস কেটে গিয়েছে। এই একমাসে শয়ে শয়ে মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত, বলা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবথেকে বড় শরণার্থী সমস্যায় এখন ইউরোপ। শুধু ইউক্রেন বা রাশিয়াকেই নয়, এই যুদ্ধের (Ukraine-Russia War) প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। কবে শেষ হবে এই যুদ্ধ? কোথায় দাঁড়িয়ে আছে যুদ্ধ? কী কী ঘটল, একমাসে কতটা বাড়ল এই সঙ্কট, দেখুন -
| Published : Mar 25 2022, 03:25 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে 'অসামরিকীকরণ' এবং 'নাৎসি-মুক্ত' করা এবং সেই দেশে বসবাসকারী রুশ-ভাষীদের রক্ষা করার কথা বলে, সেই দেশে একটি 'বিশেষ সামরিক অভিযান' চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। একইসঙ্গে, তিনি এই অভিযানে হস্তক্ষেপের না করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিলেন। বেশ কয়েকটি শহরে একসঙ্গে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে একটি পূর্ণ মাত্রার হামলা শুরু করা হয়েছিল।
২৬ ফেব্রুয়ারী, পশ্চিমী দেশগুলি ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সুইফট আন্তঃব্যাঙ্ক ব্যবস্থা থেকে রাশিয়ার বেশ কিছু ব্যাঙ্ককে বহিষ্কার করেছে। রুশ বিমানের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়াকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনি ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, পুতিন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং জেনারেল স্টাফের প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রুশ আর্মি ডিটারেন্স ফোর্সকে 'যুদ্ধ সতর্কতায়' রাখার। ন্যাটো সদস্য দেশগুলির 'আক্রমনাত্মক' বিবৃতি এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞার দোহাই দিয়েই পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতার রেখেছিলেন। কিন্তু, মনে করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর বাহিনী ধারাবাহিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়াতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে প্রথম শান্তি আলোচনার সময়ই, রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের তিনটি শর্ত দিয়েছিল - ক্রিমিয়ার উপর রুশ সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রের 'অসামরিকীকরণ' ও 'নাৎসি-মুক্তকরণ' এবং এর নিরপেক্ষতা থাকার নিশ্চয়তা। অপরদিকে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি, 'অবিলম্বে' ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।
৩ মার্চ, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর খেরসন-এর পতন ঘটে। রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইউক্রেনিয় অঞ্চলগুলিকে সংযুক্ত করার জন্যই দক্ষিণাঞ্চলে স্থলভাগ দখল করে রাশিয়া। খেরসনই প্রথম ইউক্রেনিয় শহর, যার পতন ঘটে রুশ বাহিনীর হাতে। তারপর একে একে খারকিভ, মারিউপোলের মতো শহরের পতন ঘটেছে।
ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযান'এর প্রেক্ষাপটে, ৪ মার্চ তারিখে রাশিয়া 'ভুয়ো খবর' প্রচারের বিষয়ে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। নয়া আইনে, ধরা পড়লে শাস্তি হিসাবে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এরপরই বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রাশিয়া থেকে তাদের খবর সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে। একটি স্বাধীন রুশ রেডিও স্টেশন এবং টিভি চ্যানেলও তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে।