- Home
- World News
- International News
- ফাইজারের ভ্যাকসিনে 'অ্যানাফিল্যাক্সিস' সমস্যা, টিকারণ শুরুর পরই ব্রিটেনে জারি সতর্কতা
ফাইজারের ভ্যাকসিনে 'অ্যানাফিল্যাক্সিস' সমস্যা, টিকারণ শুরুর পরই ব্রিটেনে জারি সতর্কতা
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে কোভিডের টিকাকরণ শুরু করেছে ব্রিটেন। কিন্তু, তারা কি একটু তাড়াহুড়ো করে ফেলল? টিকা দেওয়া শুরু করার পরই তাদের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জারি করল সতর্কতা। তারা জানিয়েছে সেই সতর্কতা না মানলে ফাইজার-বায়োএনটেক-এর তৈরি ভ্যাকসিন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
- FB
- TW
- Linkdin
মঙ্গলবার থেকে ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে ৮০ এবং তার ঊর্ধ্ব বয়সীদের এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ অন্যান্য কোভিড মোকাবিলায় প্রথম সারিতে থাকা পরিষেবা কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেক-এর তৈরি টিকা।
এই টিকাকে পরীক্ষাগারের বাইরে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ব্রিটেনের ওযুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি বা এমএইচআরএ। তারাই এখন বলছে অ্যানাফিল্যাক্সিস কিংবা ওষুধ বা খাবার থেকে যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের ফাইজার-বায়োএনটেক সংস্থার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত হবে না।
জানা গিয়েছে ব্রিটেনে টিকা নেওয়ার পর অন্তত দুজনের ক্ষেত্রে অ্যানাফিল্যাক্সিস এবং আরও একজনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অ্যালার্জির খবর পাওয়া গিয়েছে। এমএইচআরএর চিফ এক্সিকিউটিভ জুন রাইন অবশ্য বলেছেন, অধিকাংশ মানুষেরই অ্যানাফিল্যাক্সিস থাকে না। কোভিড-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা পেতে এই ঝুঁকি নেওয়াই যায়। ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং গুণমান ও কার্যকারিতায় তাদের মানদণ্ডের শর্তপূরণ করেছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। ফাইজার এবং বায়োএনটেক সংস্থার পক্ষ থেকেও এই সতর্কতার বিষয়টিকে সমর্থন জানানো হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল কী এই অ্যানাফিল্যাক্সিস? এমএইচআরএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক কথায় অ্যানাফিল্যাক্সিস হল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অত্যধিক প্রতিক্রিয়া। এতে কখনও কখনও মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এপিনেফ্রিন নামে একটি অ্যাড্রেনালিন নিউরোট্রান্সমিটার অণু দিয়ে অ্যানাফিল্যাক্সিস-এর চিকিত্সা করা হয়।
গত সপ্তাহে, ব্রিটেনের এমএইচআরএ-ই বিশ্বের প্রথম ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে জার্মানির বায়োএনটেক এবং মার্কিন ফাইজার সংস্থার তৈরি এই কোভিড ভ্যাকসিনটিকে অনুমোদন দিয়েছিল। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা এফডিএ এবং ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি বা ইএমএ অবশ্য এখনও ফাইজার-বায়োএনটেক'এর পরীক্ষালব্ধ তথ্যগুলির মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের পর কানাডাও এই ভ্যাকসিন-কে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
বুধবার এক মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রিটেনের ঘটনার পর তারা ঠিক করেছে চরম অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে যে সমস্ত মার্কিন নাগরিকের, তাদের আপাতত ফাইজারের কোভিড টিকা দেওয়া হবে না। তাদের টিকা দেওয়ার আগে অ্যানাফিল্যাক্সিস এবং অ্যালার্জি জনিত সমস্যা কেন হচ্ছে, কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যাবে - সেই সব বিষয় সম্পর্কে আরও বোঝার চেষ্টা করা হবে।
অন্যদিকে কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে ব্রিটেন থেকে ফাইজারের টিকার যে প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার খবর এসেছে সেই দিকে তারা নজর রাখছে। তবে তাদের মতে এই ধরণের প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিতই ছিল। তাতে টিকা নেওয়ার ঝুঁকি বা লাভে কোনও পরিবর্তন হবে না।