- Home
- World News
- International News
- ইউক্রেন সীমান্তে সাঁজোয়া, হামলার হুমকি জিইয়ে রেখেই আলোচনা চাইছে রাশিয়া
ইউক্রেন সীমান্তে সাঁজোয়া, হামলার হুমকি জিইয়ে রেখেই আলোচনা চাইছে রাশিয়া
- FB
- TW
- Linkdin
ইউক্রেনের সীমান্তের (Troops Near Ukraine) আশেপাশে রাশিয়ান জেট (Russian Jets) মোতায়েনের নতুন স্যাটেলাইট চিত্র উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দেখা গিয়েছে গত ৪৮ ঘন্টায় সামরিক তৎপরতা বেড়েছে ইউক্রেন সীমান্তে।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে চলেছে এমন আশঙ্কার মধ্যেই এই বিশাল পরিবর্তন এসেছে দুই দেশের সীমান্তে। গত ৪৮ ঘন্টায় তোলা ম্যাক্সারের উচ্চ-রেজোলিউশন স্যাটেলাইট চিত্রগুলি (Maxar's high-resolution satellite images) বেলারুশ, ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় রাশিয়ান সৈন্যদের একটি বিশাল মোতায়েনের প্রমাণ দিচ্ছে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি বড় সেনা কনভয় সীমান্তে জড়ো হয়েছে। সেই সঙ্গে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারও প্রচুর পরিমাণে জড়ো করা হয়েছে।
ছবিগুলোর সামনের অবস্থানে গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফট এবং ফাইটার-বোমা জেট মোতায়েনও দেখায়। একাধিক স্থল বাহিনী ইউনিটকেও কনভয়ে দেখা গিয়েছে। ১০ই ফেব্রুয়ারি ক্রিমিয়ার ওকটিয়াব্রস্কয় এয়ারফিল্ডে প্রচুর সংখ্যক সেনা এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম দেখা গেছে।
গত শনিবার ইউক্রেন ইস্যুতে সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ফোনালাপও ব্যর্থ হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের (White House) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পাশে এক লক্ষেরও বেশি রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া যেকোনও সময়ই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। যুদ্ধের আশঙ্কায় এখন পর্যন্ত ১০টির বেশি দেশ তাদের নাগরিককে ইউক্রেন ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছে।
রাশিয়ান নৌবাহিনী ও সৈন্যরা ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে দক্ষিণ পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে সম্পূর্ণরূপে ঘিরে ধরে রেখেছে। রাশিয়া প্রকাশ্যেই জানিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কখনই ন্যাটোকে প্রবেশ করতে দেবে না।
অন্যদিকে পুতিনকে পূর্ব ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চাইছে আমেরিকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত হলে প্রথমত পূর্ব ইউরোপে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হবে।
পশ্চিমা শক্তিগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। এতে রাশিয়ার রপ্তানি কমে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়া তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে।