- Home
- World News
- International News
- ৮ দিনের মধ্যেই কি শুরু হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আমেরিকার বিবৃতিতে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক
৮ দিনের মধ্যেই কি শুরু হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আমেরিকার বিবৃতিতে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক
- FB
- TW
- Linkdin
রাশিয়া মুখে বলছে, তাদের ইউক্রেনে হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু, কৃষ্ণ সাগরে তারা তাদের মিত্রশক্তিগুলির সঙ্গে সমানে সামরিক অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের কাছে কৃষ্ণ সাগরে ৩০ টিরও বেশি রণতরী মোতায়েন করেছে রুশ নৌবাহিনী। এই সামরিক অনুশীলন আসলে রাশিয়ার শক্তি প্রদর্শন, মূল চলচ্চিত্রের একটি ট্রেলার বলে মনে করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক জলভাগের সঙ্গে ইউক্রেনের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা অস্বীকার করে রাশিয়া বলেছে, তাদের এই পদক্ষেপ ন্যাটো বাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপ। তবে, এই বিষয়ে বিপদ-ঘণ্টা বাজিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের দাবি, ইউক্রেন সীমান্তে এক লক্ষেরও বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও দিন ইউক্রেনে বোমা হামলা শুরু করতে পারে রাশিয়া। ২০ ফেব্রুয়ারি বেজিং শীতকালীন অলিম্পিক শেষ হবে। তবে, তার আগেই ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারেন ভ্লাদিমির পুতিন, এমনটাই মনে করছে আমেরিকা।
আমেরিকা মনে করছে, রুশ আক্রমণ শুরু হবে বিমান হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে। তাতে প্রচুর অসামরিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এই কারণেই মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিয়েভের মার্কিন দূতাবাসও খালি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটেনও তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছেড়ে যেতে বলেছে। তবে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে নামবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও তাদের নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন সংলগ্ন ন্যাটো সদস্য দেশগুলিতে সেনা মোতায়েনের কাজ জোরদার করছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই পোল্যান্ডে এক হাজারের বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। আরও ৩ হাজার মার্কিন সেনাকে সেই দেশে যাওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রশিক্ষণের জন্য ইউক্রেনে যাওয়া মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁও রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বাইডেন-পুতিন আলোচনায় উত্তেজনা প্রসমিত না হলে, রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে আমেরিকা ও ইউরোপ।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিরোধ পারমাণবিক যুদ্ধেও পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। এতে করে, সমগ্র বিশ্বেরই ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে পড়বে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই ন্যাটো দেশগুলিকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এখন তিনি সেই হুমকি বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছেন। স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলার পর, ন্যাটোর সদস্য দেশ পোল্যান্ডের কাছে হাইপারসনিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত মিগ-৩১ জেট মোতায়েন করেছে রাশিয়া। বর্তমানে, সেই যুদ্ধবিমানগুলি দিয়ে জল ও আকাশপথে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করার মহড়া দিতে চলেছে রাশিয়া। অর্থাৎ, ন্যাটো বা আমেরিকা যদি পুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে নাক গলায়, তাহলে রাশিয়ার পারমাণবিক বোমা হামলার জন্য প্রস্তুত।
পারমাণবিক বোমা হামলার মহড়া, রাশিয়ার জন্য নতুন নয়। তবে, ইউক্রেনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই ধরনের সমর অনুশীলন চালানোর সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন বাকি বিশ্ব। এর আগে ভেনিজুয়েলায়ও পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের ইঙ্গিত দিয়েছিল রাশিয়া। অর্থাৎ, রুশ পরমাণু হুমকি রয়েছে ব্রিটেন ও আমেরিকার উপরেও। বর্তমানে বিশ্বে রাশিয়ার কাছেই সবথেকে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রয়েছে। এই অবস্থায় ইউক্রেনে হামলার কাউন্টডাউনের জেরে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। রুশ পরমাণু মহড়ার খবর তো আরই ভীতিকর।