- Home
- World News
- International News
- এমন কী অস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন - কীভাবে এতদিন ঠেকিয়ে রেখেছে রাশিয়াকে, দেখুন
এমন কী অস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন - কীভাবে এতদিন ঠেকিয়ে রেখেছে রাশিয়াকে, দেখুন
এ যেন ডেভিড ও গোলায়থের যুদ্ধ। একদিকে প্রবল পরাক্রমী রাশিয়া (Russia)। তাদের সামনে ধারে ভারে সব দিক থেকে অনেক পিছনে থাকা ইউক্রেন (Ukraine)। কিন্তু, প্রায় তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও যুদ্ধটা জিতে উঠতে পারেনি রাশিয়া। স্বভাবতই তাদের সামরিক সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাধ্য হয়ে, সোমবারই রুশ সরকার এক বিবৃতি জারি করে বলেছে, তাদের অভিযান পরিকল্পনামাফিকই চলছে। তবে, পুতিন-ঘনিষ্ঠ এবং রুশ ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান ভিক্টর জোলোটভ কিন্তু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যাশার থেকে ধীরে চলছে অভিযান। কীভাবে, সীমিত ক্ষমতা নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের শক্তির মোকাবিলা করছে ইউক্রেনীয়রা? সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা বড় ভূমিকা নিয়েছে। চলতু যুদ্ধে ব্যবহৃত সমরাস্ত্রগুলির তুলনা করলেই এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে -
- FB
- TW
- Linkdin
এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ৫০০ কিলোমিটার। ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য, শয়ে শয়ে এই শক্তিশালী এবং সুনির্দিষ্ট, স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করছে রাশিয়া। এমনকী এই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বহু অসামরিক নাগরিকদের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও স্কুল ভেঙে পড়েছে। বহু অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির পাল্লা ২,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই ল্যান্ড-অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইলগুলি রুশ নৌবাহিনীর, স্থলভাগে আঘাত করার দুর্দান্ত ক্ষমতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি। ভারতীয় নৌবাহিনীও, রাশিয়ার কাছ থেকে কিনে, এই ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে।
এটি একটি বিশেষ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবস্থা। এর পাল্লা ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই হেভি ফ্লেম থ্রোয়ার থেকে থার্মোবারিক ওয়ারহেড-সহ বিভিন্ন আনগাইডেড রকেট নিক্ষেপ করা যায়। এই রকেটগুলি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে সক্ষম।
টি-৯০ এবং টি-৭২ - ইউক্রেনে এই দুটিকেই প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক হিসাবে পাঠিয়েছে রাশিয়া। তবে, এখনও পর্যন্ত ট্যাঙ্ক বাহিনী সাফল্য পায়নি বললেই চলে। ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ বাহিনীর প্রত্যাঘাতে একের পর এক রুশ ট্যাঙ্কের ক্ষতি হচ্ছে। দুটি ট্যাঙ্কের কোনওটিই ইউক্রেনের সঙ্গে যুঝে উঠথে পারছে না।
এই ড্রোনটি তৈরি করেছে তুর্কি। একটানা ২৭ ঘন্টা উড়তে পারে এই ড্রোন। রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে বর্তমানে ইউক্রেনিয় সেনাবাহিনী এই ড্রোনকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। রুশ ট্যাঙ্ক বা ট্যাঙ্কের জ্বালানী সরবরাহকারী ট্রাক, আকাশপথে ধ্বংস করা হচ্ছে. এই ড্রোন ব্যবহার করে।
জ্যাভলিন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে মার্কিনীরা। এর পাল্লা ৪ কিলোমিটার। বর্তমানে এটি ইউক্রেনের অস্ত্রাগারের থাকা সবথেকে মারাত্মক অস্ত্র হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই জ্যাভলিন ব্যবহার করেই, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, গত কেকদিনে বহু রুশ ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।
গত জানুয়ারি মাসেই, ব্রিটেন তাদের তৈরি এই অ্যান্টি ট্যাঙ্ক অস্ত্র দিয়েছিল ইউক্রেনকে। এর পাল্লা ৮০০ মিটার। এটি পোর্টেবল, অর্থাৎ বহন করা সহজ। এই অস্ত্র ব্যবহার করে ক্লোজ-রেঞ্জ থেকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বহু রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে ইউক্রেন সেনার পদাতিক বাহিনী।
স্থলভাগের পাশাপাশি ইউক্রেনের আকাশসীমাও এখনও দখল করতে পারেনি রাশিয়া। আর তার বড় কারণ হল, এই অস্ত্র। এর পাল্লা ৪ কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বহু রুশ হেলিকপ্টার ধং হয়েছে।