- Home
- World News
- International News
- পাততাড়ি গোটালো আমেরিকা - কাবুলে জুড়ে চলছে গোলাগুলির তালিবানি বিজয়োল্লাস, দেখুন ছবিতে ছবিতে
পাততাড়ি গোটালো আমেরিকা - কাবুলে জুড়ে চলছে গোলাগুলির তালিবানি বিজয়োল্লাস, দেখুন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
মঙ্গলবারই ছিল মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন। সোমবার বিকালে নির্ধারিত সময়সীমার কয়েক ঘণ্টা আগেও কাবুল বিমানবন্দরের টারম্যাকে দেখা গিয়েছিল মার্কিন বিমানগুলি। প্রশ্ন উঠছিল, আমেরিকা কি তবে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমার মেয়াদ বাড়াবে?
গত কয়েকদিন ধরে বারবার কাবুলের আকাশে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে হামলার প্রেক্ষিতে মার্কিন নাগরিক ও মিত্রপক্ষের আফগানদের বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি শিবিরে রাখা হয়েছিল। সেই শিবিরের উপর দিয়ে সোমবার বিকালেও বেশ কয়েকটি বিমন উড়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
তবে মধ্যরাতেই শেষ মার্কিন বিমান কাবুল ছেড়ে যায়। ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের কমান্ডার, মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহু-র একটি সি-১৭ কার্গো বিমানে চড়ার এই ছবিটি প্রকাশ করে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। জানানো হয়, ডোনাহু হলেন মার্কিন অভিযান শেষ করে আফগানিস্তান ত্যাগ করা শেষ আমেরিকান সেনা সদস্য।
সময়সীমা যত এগিয়ে আসছিল, ততই কাবুল বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে আসছিল তালিবান। গত রবিবারই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাইরে থেকে ঘিরে ফেলেছিল তালিবান যোদ্ধারা। তবে বিমান বন্দরের নিয়ন্ত্রণ তখনও ছিল আমেরিকার হাতেই। চলছিল ইভাকুয়েশন প্রক্রিয়া।
মার্কিন বাহিনীর কাবুল ত্যাগ করার পরপরই বিমান বন্দরে প্রবেশ করে তালিবান যোদ্ধারা। তালেবানদের ফতেহ জাওয়াক ইউনিট এই দায়িত্বে ছিল। প্রথমেই উল্লাসে মাতে তারা।
মধ্যরাতে আলোকিত হয়ে ওঠে কাবুলের আকাশও। জ্বলে ওঠে আতশবাজি। শুধু তাই নয়, ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে গোটা কাবুল জুড়ে শোনা যায় একটানা গোলাগুলি চলার শব্দ। তবে সবটাই আকাশে ছোঁড়া হয়েছিল, বিজয় উৎসব পালনের জন্য।
কাবুল বিমানবন্দরে বেশ কিছু হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া গাড়ি ফেলে রেখে গিয়েছে আমেরিকা। ছবিতে তালিবান বাহিনীকে বিমানবন্দরে একটি চিনুক হেলিকপ্টার পরীক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে মার্কিন সেনা দাবি করেছে কাবুল ছাড়ার আগে তারা সব বিমান, কপ্টার সাঁজোয়া যান এবং একটি উচ্চ প্রযুক্তির রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করেছে।
এরপর তালিবানরা আফগানিস্তানে 'সম্পূর্ণ স্বাধীনতা' ঘোষণা করেছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মঙ্গলবার বলেছেন, 'আমেরিকান সৈন্যরা কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে চলে গেছে, এবং আমাদের দেশ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছে।'
কাবুল বিমানবন্দর হাতে আসার পর বলতে গেলে পুরো আফগানিস্তানই তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনও প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে পঞ্জশির প্রদেশ। তালিবানরা বলেছে তারা সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
তবে, মার্কিন মিত্রদের সকলকে যে শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনা যায়নি, তা মেনে নিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা সকলকেই সরাতে চেয়েছিল। যদি আর ১০ দিন সময় পাওয়া যেত, তাহলেই তা করা যেত। েখন ই মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য করা আফগানদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।