- Home
- World News
- International News
- পার্লামেন্টে চলছে জাতীয় বাজেট পেশ, পর্ন দেখায় ব্যস্ত দেশের এমপি,সিসিটিভি ফুটেজে হল পর্দাফাঁস
পার্লামেন্টে চলছে জাতীয় বাজেট পেশ, পর্ন দেখায় ব্যস্ত দেশের এমপি,সিসিটিভি ফুটেজে হল পর্দাফাঁস
পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালীন পর্ন দেখে বিতর্কের মুখে পড়লেন থাইল্যান্ডের এক এমপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সেই দেশে। বাজেট পেশের মত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি নিজের স্মার্টফোনে পর্ন দেখছিলেন বলে অভিযোগ।
- FB
- TW
- Linkdin
গত বৃহস্পতিবার থাই পার্লামেন্টে বাজেট পেশের সময় স্মার্টফোনে পর্ন দেখতে ব্যস্ত ছিলেন এমপি রোনাথেপ আনুওয়াত। গোটা বিষয়টি ধরা পড়ে পার্লামেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে।
প্রায় ১০ মিনিট ধরে মনোযোগ সহকারে এমপি রোনাথেপ আনুওয়াত পর্ন দেখছিলেন। ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মুখের মাস্কও খুলে ফেলেন থাইল্যান্ডের চনবুরি প্রদেশের এই এমপি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনটি নারীর ছবি দেখছিলেন আনুওয়াত। যার মধ্যে এক তরুণীকে দেখা যায় শরীরের উপরের অংশের জামা খুলে ফেলতে, আরেকজন পুরোপুরি নগ্ন অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছে এবং আরেক তরুণী নিজের গোপনাঙ্গ দেখাচ্ছে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে জর্জরিত ক্ষমতাসীন দল পালং প্রচারাথ পার্টির এমপি আনুওয়াত। যদিও এ কাজে তিনি অনুতপ্ত নন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে আনুওয়াত বলেন, এক নারী তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ওই ছবিগুলো পাঠিয়েছিলেন। ওই নারী তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন। আর তাই আনুওয়াত স্মার্টফোনে ঝুঁকে পড়ে কাছ থেকে ছবিগুলো দেখছিলেন।
আনুওয়াত পাল্টা যুক্তি দেন, ছবিতে থাকা আশেপাশের পরিবেশ যাচাই করতে মনোযোগী হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কারণ তাঁর মনে হচ্ছিল, দুষ্কৃতকারীরা বন্দুকের নলের সামনে রেখে মহিলাকে ওই রকম ছবি তুলতে বাধ্য করছিল। প্রায় দশ মিনিট ধরে পর্যবেক্ষণের পর তিনি বুঝতে পারেন যে সেরকম কিছুই ঘটেনি। তবে তার এমন যুক্তি না টিকলেও আনুওয়াত বলেছেন, এমপি হলেও তার ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। সেখানে হস্তক্ষেপ করাটা শোভনীয় আচরণ নয়।
এদিকে পার্লামেন্টের স্পিকার চুয়ান লিকপাইও বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, পার্লামেন্ট অধিবেশনের সময় স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে কোনো ধরনের আইন নেই। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে অন্য এমপিরাও কোনো অভিযোগ তোলেননি।
তবে স্পিকার এমপিদের সতর্ক করে দেন, তাঁরা যেন দায়িত্বপালনের সময় যেন ব্যক্তিগত কাজকে আলাদা রাখেন।
তবে থাই পার্লামেন্টে এমন কর্মকাণ্ড আগেও দেখা গেছে। ২০১২ সালে রাজধানী ব্যাংককের এক এমপি পার্লামেন্টের অধিবেশনের সময় ফোনে পর্ন দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন।