- Home
- World News
- International News
- করোনার মধ্যেই চিনে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আতঙ্ক, ক্ষতি হতে পারে পুরুষের শুক্রাণুর
করোনার মধ্যেই চিনে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আতঙ্ক, ক্ষতি হতে পারে পুরুষের শুক্রাণুর
করোনাভাইরাসের পর এবার ব্রুলেলোসিসের সংক্রনণে লাল চোখ দেখাচ্ছে চিনকে। এই ব্যাকটেরিয়া রোগে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত বছর সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা প্রতিষেধক তৈরি করছিল। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে আশঙ্কা করছে চিন।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের ফাঁড়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি চিনে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবন। খুলতে শুরু করেছে স্কুল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন বিদপ দানা বাঁধতে শুরু করেছে চিনে।
ব্রুসেলোসিস নামে এক ব্যাকটেরিয়া বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেশা গেছে উত্তর পশ্চিম চিনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
৩২৪৫ জনের দেহে ইতিমধ্যেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। আক্রান্তদের মূল লক্ষ্ণণই হল জ্বর, গ্যাঁটে ব্যাথা আর মাথায় ব্যাথা।
নতুন করে ১৪০১ শরীরে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখতে পাওয়া গেছে। তবে স্বাস্থ্য দফতর আশ্বস্ত করেছে এখনও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে এই রোগ সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়নি।
চিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে এই রোগ মূলত প্রাণির দেহ থেকে ছড়িয়ে পড়ে। যাঁরা সংক্রমিত তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে আক্রান্ত প্রাণিদের সংস্পর্শে এসেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে একটি আশঙ্কার কথা রয়েছে, সেটি হল এই রোগে আক্রান্ত পুরুষদের শুক্রাণু সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু পুরুষকে বান্ধ্যত্বের জন্যএই এই ব্যাক্টেরিয়া দায়ি থাকতে পারে। প্রাণিদের জন্য এই প্রতিষেধক তৈরি করা হচ্ছিল।
চিনা প্রশাসন জানিয়েছে গত বছর সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্ট জুলাই আর অগাস্ট মাসে ব্রুসেলা প্রতিষেধক তৈরির জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ জীবাণুনাশক ব্যবহার করেছিল। আর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারনি। শূকর প্রভূতি প্রাণির দেহে এইজাতীয় ব্যাকটেরিয়া দেখতে পাওয়া যায়।
চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে প্রথমে মনে করা হয়েছিল খুব অল্প মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। পরবর্তীকালে ২১ হাজার মনুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গেছে সংখ্যাটা অনেক বেশি।
যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য চিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্কতা গ্রহণ করেছে। সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেশী প্রদেশগুলিকে।
গতবছরই চিনের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। তারপরই তা অতিমারির আকার ধারণ করে। যা নিয়ে এখনও আতঙ্কে রয়েছে বিশ্বের বহুদেশ।