সাধারণ এজেন্ট থেকে যুদ্ধ ঘোষণাকারী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের জার্নি
- FB
- TW
- Linkdin
বৃহস্পতিবার (Thursday) সকালেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (President) ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putiun)। ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্ম তাঁর। ১৯৭৫ সালে রাশিয়ার সিক্রেট এজেন্সি কেজিবি-তে যোগ দেন তিনি। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন আজকের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তিনি ক্রিমলিনের কর্মী হিসাবে নিযুক্ত হন।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। বোরিস ইয়েলটসিন যখন রাষ্ট্রপতির পদে ছিলেন সেই সময় এক বছরের জন্য দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন পুতিন। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে পুতিন সর্বোচ্চ পদ আরোহণ করেন। সেই সময় থেকেই একপ্রকার ক্ষমতায় রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউরোপ মূলত রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহের উপর নির্ভর করে থাকে। এই বিষয়টাকে হাতিয়ার করেই পুতিন সেই সময় একটি বিশাল আন্তর্জাতিকস্তরে লাভবান হয়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন Gazprom হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) বৃহত্তম সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম।
যেহেতু রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী একজন রাষ্ট্রপতির দুবারের বেশী এই পদ গ্রহণ করতে পারবে না, সেই জন্য ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের সাথে স্থান পরিবর্তন করেছিলেন।
২০১২ সালে ভ্লাদিমির পুতিন পুননির্বাচন দ্বারা প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হন। তারপর মাত্র দুবছরের মধ্যে ক্রিমিয়াকে নিজের অফিসে সংযুক্ত করে নেন। এর ঠিক ৮ বছর পর ভ্লাদিমির পুতিম ইউক্রেন আক্রমনের নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের সীমানা জুড়ে সৈন্য নিয়োগের পাশাপাশি ইউক্রেনের উপর ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি হয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চারবার ভোটগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষের তকমা পেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয়ী হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে পুতিন ও ট্রাম্প উভয়েই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৮ সালে চতুর্থবারের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হন ভ্লাদিমির পুতিন।
২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে পুতিন সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছিলেন যা তাকে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়ার পরেও ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ দেবে। এই পদক্ষেপগুলিকে ২০২৪ সালের জন্য একটি বিশেষ লক্ষ্যপূরণের হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়েছিল যখন ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে দাবি করেছেন যে পুতিন একটি রাশিয়ান সাম্রাজ্য তৈরি করতে চান। সেই সঙ্গে ইউক্রেনকে রাশিয়ার কক্ষপথে ফিরিয়ে আনতে চান। তিনি ইউক্রেনকে রাশিয়ার মুকুট রত্ন বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ২০২১ সালে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশের মানুষ এক ও অভিন্ন।