- Home
- World News
- International News
- ইউক্রেনের এমন ৮ অজানা কাহিনি, যা বিশ্বজুড়ে যে কোনও মানুষকে আকর্ষণ করে
ইউক্রেনের এমন ৮ অজানা কাহিনি, যা বিশ্বজুড়ে যে কোনও মানুষকে আকর্ষণ করে
ইউক্রেন ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম একটা সুন্দর দেশ (Ukraine)। যার নৈর্সগিক রূপ সকলের নজর টানে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের আগে পর্যন্ত ইউক্রেন ছিল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে (Ukraine-Russia Conflict)। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সূচনা হয়েছিল ইউক্রেনের হাত ধরেই। বরাবরই ইউক্রেনীয়রা স্বাধীনতাপ্রিয় এবং স্বাধিকার প্রয়োগ বজায় রাখার পক্ষপাতি। কিন্তু ইউক্রেন শুধু নৈসর্গিক সৌন্দর্যেই নয়, শিক্ষা-দর্শন এবং প্রযুক্তির আবিষ্কারেও বিশ্বের এক অনন্য দেশ। রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পেতে ইউক্রেনের স্বাধীনতাকামীরা বরাবরই ব্রিটেন এবং আমেরিকার দিকেই নিজেদের সমর্থনকে ঝুঁকিয়ে রেখেছিলেন। যার ফলে রাশিয়া এবং চিনের সমাজতন্ত্র দর্শনের সঙ্গে কোনও দিনই খাপ খায়নি ইউক্রেন (Unknown Facts of Ukraine)। এই রাজনৈতিক এবং শাসনতান্ত্রিক বিষয়গুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে যদি ইউক্রেনের দিকে তাকানো যায় তাহলে এর ৮টি বৈশিষ্ট্য যে কোনও কারওরই নজর টানবে।
| Published : Feb 23 2022, 02:04 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এশিয়া এবং ইউরোপের বুকে যদি রাশিয়ার ব্যপ্তিকে একপাশে সরিয়ে রাখা যায়, তাহলে ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ ইউক্রেন। ইউরোপ মহাদেশে ইউক্রেনের মোট আয়তন ৬০৩.৫৫ স্কোয়ার কিলোমিটার। ইউরোপের বুকে সবচেয়ে বড় দেশ হলেও এর লোকসংখ্যা বিশাল কিছু নয়। এই দেশে মাত্র ৪ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। যা ফ্রান্স ও জার্মানির জনসংখ্যার থেকেও কম।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যতই বিবাদ থাক, এখানে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনিয়ান- দুই ভাষাই চলে। তবে স্থানীয় ভাষা হিসাবে ইউক্রেনিয়ান ভাষার বেশি চল। সবচেয়ে বড় যে বিষয়- এখানে ইংরাজি ভাষার সেভাবে কোনও চল নেই। বরং ইংরাজি বললে বহু মানুষেরই বুঝতে অসুবিধা হয়।
বিশ্বের মেট্রো রেলের মানচিত্রে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নাম সর্বাগ্রে আসে। এই কিয়েভ মেট্রো লাইনেই রয়েছে আরসেলানা মেট্রো স্টেশন। যা বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম মেট্রো স্টেশন। মাটির উপর থেকে ১০৫.৫ মিটার গভীরে এই মেট্রো স্টেশন। এর কারণ এই মেট্রো লাইনকে ডনিয়েপার নদীর নিচ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই নদীটি কিয়েভ শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মাটির এতটা নিচে মেট্রো ধরতে যাত্রীদের এসকেলটরের সাহায্য নিতে হয়।
ম্যাকডোনাল্ডের বিশ্ব জুড়ে যতগুলি রেস্তোরাঁ রয়েছে তারমধ্যে গ্রাহকদের ভিড়ে প্রথম তিনে রয়েছে কিয়েভ। এখানে থাকা ম্যাকডোনাল্ডের রেস্তোরাঁটি কিয়েভ রেল স্টেশনের কাছেই। এখানে যদি যাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে সমানে গ্রাহকের ভিড় লেগেই রয়েছে। ইউক্রেনবাসী মনে করেন কিয়েভে থাকা ম্যাকডোনাল্ড-এর রেস্তোরাঁটি দেশের সবচেয়ে সেরা ফাস্টফুড সেন্টার।
শিক্ষার হারে বিশ্বের চতুর্থ নম্বর দেশ হল ইউক্রেন। এখানে শিক্ষার হার ৯৯.৯ শতাংশ। এখানে ১৫ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে থাকা মানুষদের ৯৯ শতাংশই পড়তে লিখতে সক্ষম। প্রাপ্ত বয়স্ক ইউক্রেনিয়দের মধ্যে ৭০ শতাংশই মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক-এর গণ্ডী পার করেছেন। প্রচুর সংখ্যক ইউক্রেনিয়ানের আবার ডক্টরেট ডিগ্রিও রয়েছে।
ইউক্রেনে খুব সস্তায় এক জন পর্যটক ঘুরতে পারেন। এখানে জিনিসপত্রের দাম অত্যন্ত কম। এমনকী সাধারণ পরিবহণ যেমন বাস বা ট্রেন- সবই অত্যন্ত সস্তা। খাবার-দাবারের দামও বেশ সস্তা। সেই তুলনায় ইউরোপের অন্যান্য দেশে খাবার-দাবারের দাম ইউক্রেনের থেকে অনেকটাই বেশি।
মাউন্ড হোভারলা হল ইউক্রেনের সর্বোচ্চ পর্বতমালা। যার উচ্চতা ২০৬১ মিটার। ক্যাপাথিয়ান পর্বতমালার অংশ বিশেষ এই হোভারলা। ঊনিশ শতক থেকেই হোভারলা নিয়ে সকলের উৎসাহ এবং বহু মানুষ এই পর্বতমালা দেখতে আসেন। গত কয়েক দশকে মাউন্ড হোভারলার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে এর উপত্যকায় জমে থাকা বরফের উপরে স্কি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দলে দলে মানুষ ভিড় করেন।
ইউক্রেনের জাতীয় পোশাকের নাম ভিসিভাঙ্কা। এর বিশেষ আকর্ষণ এর এমব্রয়ডারি। এর স্বকীয়তা এতটাই নজরকাড়া যে সকলের চোখে লেগে থাকে এই পোশাকের কাজ। ভিসিভাঙ্কার যে জামা তা এক্কেবারে লিনেন থেকে তৈরি একটা সাদা রঙের টপ। যার সঙ্গে ফ্লোরালের কাজ করা এবং হাত দিয়ে সুতোর কারুকাজ স্থান পায়। আর এর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে এই পোশাক পরে।