আইপিএল বন্ধ, বিসিসিআইয়ের বিপুল ক্ষতি, টাকার অঙ্ক জানলে মাথায় হাত পড়বে আপনারাও
করোনার থাবায় শেষ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত করে দিতে হয়েছে বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। মাঝপথে আইপিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুল অঙ্কের টাকার লোকসান সম্মুখীন হতে হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। ক্ষতির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আবহে চ্যালেঞ্জ নিয়েই ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। সম্পূর্ণ জৈব সুরক্ষা বলয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। কিন্তু মারণ ভাইরাস রোখা গেল না শেষমেশ।
কেকেআর, সিএসকে, দিল্লি, সানরাইজার্স একের পর এক দলের প্লেয়াররা করোনা আক্রান্ত হতেই প্রতিযোগিতা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
মোট ৬০ ম্যাচের প্রতিযোগিতা ছিল আইপিএল। কিন্তু ২৯ ম্যাচ হওয়ার পরই বন্ধ করে দিতে হল বোর্ডকে। তার ফলে যে ক্ষতির সম্মুখীন পড়তে হল তা জানলে মাথায় হাত পড়বে আপনার। ২৫০০ কোটি টাকারও বেশি তির সম্মুখীন হতে হল বিসিসিআইকে।
এই বিপুল ক্ষতির মূল কারণ সম্প্রচারকারী সংস্থা ও বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকে কম টাকা পাবে বোর্ড। এই দুটি জায়গা থেকেই ১৬৯০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বোর্ড।
৬০টি ম্যাচের এই টুর্নামেন্টের জন্য স্টার স্পোর্টস থেকে প্রতি বছর ৩২৬৯.৪ কোটি টাকা পায়৷ অর্থাৎ ম্যাচ পিছু ৫৪.৫ কোটি টাকা৷ ফলে চলতি আইপিএলে ২৯ ম্যাচের জন্য বোর্ড স্টার স্পোর্টসের থেকে পাবে ১৫৮০ কোটি টাকা৷
অর্থাৎ শুধু আইপিএলের সম্প্রচারকারী সংস্থা থেকেই বিসিসিআইয়ের ক্ষতি হতে চলেছে ১৬৯০ কোটি টাকার মত। এছাড়া আইপিএলের অ্যাসোসিয়েট স্পনসর ও টাইটেল স্পনসরের থেকেও অনেক লোকসান হচ্ছে বিসিসিআইয়ের।
টাইটেল স্পনসর ভিভোর থেকে প্রতি মরশুমে বোর্ড পায় ৪৪০ কোটি টাকা৷ কিন্তু বোর্ডে এবার অর্ধেকের কম টাকা পাবে৷ এছাড়াও অনান্য স্পনসরের থেকে মরশুমে বোর্ডের পাওয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি টাকা৷ এখানেও প্রায় অর্ধেক টাকা পাবে বোর্ড৷
বিসিসিআই-এর এক সিনিয়র আধিকারিক পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘মাঝপথে আইপিএল স্থগিত হওয়ায় বোর্ডের ২০০০ থেকে ২৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে৷ মোটামুটি ২৫০০ কোটি টাকা হবে৷’
শুধু বিসিসিসিআই নয়, আইপিএল বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলিও। কারণ বিসিসিআইয়ের যে মোট আয় হত তার একচা অংশ ভাগ করে দেওয়া হত আইপিএল দলগুলির মধ্যে। এবার সেই টাকাও অনেক কম পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
বিশাল অঙ্কের টাকা ক্ষতির কথা ভেবেই আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি আয়োজন করার চেষ্টা করছে বোর্ড। টি২০ বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে বাকি আইপিএল করার ভাবনা রয়েছে বিসিসিআইয়ের। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।