আইপিএলে করোনার থাবা, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
- FB
- TW
- Linkdin
দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। গতবছরের সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়ে প্রথমবার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। যার অর্ধেক দৈনিক সংক্রমণ শুধু মহারাষ্ট্রে।
এই পরিস্থিতিতে দেশের মাটিতে এবার আয়োজিত হচ্ছে আইপিএল। ৯ এপ্রিল থেকে ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে ভারতের কোটিপতি লিগের। কিন্তু করোনার কোপ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না আইপিএলও।
যাবতীয় করোনা বিধি লাগু, বায়ো বাবল তৈরি করেও আইপিএলে ছড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। গত কয়েক দিনের মধ্যে আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে যেমন ক্রিকেটারেরা আছেন, তেমন আছেন ওয়াংখেড়ের মাঠকর্মীরাও।
ক্রিকেটার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন কেকেআরের নীতিশ রানা, দিল্লি অক্ষর প্যাটেল এবার আরসিবির দেবদূত পাড়িকল। যারফলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে আইপিএলের সর্বত্র।
এই পরিস্থিতিতে আইপিএল নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করা যাবে কিনা, মুম্বইতে ম্যাচ হবে কিনা, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তবে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'নির্ধারিত সূচি মেনেই আইপিএল হচ্ছে।'
পাশাপাশি জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণটা অবশ্যই চিন্তার কারণ। কিন্তু সে সব মাথায় রেখেই বোর্ড যাবতীয় পদক্ষেপ করেছে। যে কারণে ছ’টা কেন্দ্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তাই মনে হয়, কোনও সমস্যা ছাড়াই প্রতিযোগিতা হবে।
মুম্বই থেকে ম্যাচ সরানোর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ওখানে সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়ে গিয়েছে। তবে বিকল্প কেন্দ্রও যে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রথম বিকল্প স্টেডিয়াম হল লখনউ। তার পরে হায়দরাবাদ ও ইনদওর আছে।
ইতিমধ্যেই আইপিএলের ক্রিকেটারদের যাতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছে বিসিসিআই। যাতে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ক্রিকেটাররা নিশ্চিন্তভাবে ক্রিকেট খেলতে পারে।
ফলে দেশ জুড়ে করোনার থাবা বাড়লেও, এমনকী আইপিএলের অন্দরেও করোনা প্রবেশ করে গেলেও, প্রতিযোগিতা সুষ্ঠুভাবে করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিসিসিআই।
গতবার বিদেশের মাটিতে সাফল্যের সঙ্গে আইপিএল করায় সৌরভের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল গোটা বিশ্ব। এবার আরও এক চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলার 'মহারাজ'।