কলকাতার সেরা ৭ স্ট্রিট ফুড, যা না খেলে জীবন বৃথা, রইল হদিশ
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথমে, জাইকার টেস্টি কাঠি রোল। জানেন কি কলকাতায় সর্বপ্রথম কারা 'কাঠি রোল' এনেছিল। জাইকা হলো সেই দোকান| এখানকার পুর ভরা রুটির আকারে রোল কলকাতার একটি খাঁটি স্ট্রিট ফুড| যদিও এখন সারা শহর জুড়েই বিভিন্ন নাম করা রোল এর দোকান গড়ে উঠেছে| এই রোল এর রকমের কোনো শেষ নেই| এগ রোল, চিকেন রোল, মাটন রোল, ভেজ রোল, পনির রোল, কাবাব রোল, ফিশ রোল, আরো কত কি| তবে এপ্রসঙ্গে নিউ মার্কেট এর নিজাম , বাদশাহ, এবং পার্ক স্ট্রিট এর কুসুম এবং হট কাঠি রোল এর নাম নিতেই হবে
ফেয়ারলী প্লেসের লুচি আলুর দম কলকাতার অন্যতম জীভে জল আনা স্ট্রীট ফুড। এখানে গেলেই দেখতে পাবেন সারি দিয়ে দিয়ে সব খাবারের দোকান রয়েছে যেখানে সাধারণ ঝালমুড়ি থেকে শুরু করে, ভাত ডাল ও পাবেন। তবে এখানকার সবথেকে জনপ্রিয় খাবার হলো লুচি -আলুর দম যা বলতে গেলে সারা কলকাতার মধ্যে সেরা।
অনাদি কেবিনের মোগলাই পরোটার জন্য মানুষ পাগল। কলকাতার অন্যতম সেরা স্ট্রিট ফুড এই মোগলাই পরোটা। পাতলা রুটির মধ্যে মাংসের পুর দেওয়া পরোটা এবং সঙ্গে কাঁচা পিঁয়াজ, ও সেদ্ধ ডিম্ একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছা করবে। কলকাতার আরও অনেক জায়গায় এই খাবার পাওয়া গেলেও অনাদি কেবিনের পরোটার যেন স্বাদ মুখে লেগে থাকবে। আবার দামেও কম, কম তাই মন ভরে আনন্দ নেওয়া যায়।
মিত্র কাফে-র কবিরাজি কাটলেট বা ফিশ কবিরাজি, মাটন কবিরাজি খুবই বিখ্যাত। পুরু করে দেওয়া টুকরো মাছ বা মাংসের পুর ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজা হয়ে থাকে এই কবিরাজি কাটলেট। যা খেলে, স্বাদ বাড়ি আনা যায়।
শর্মার কচুরি এবং জিলিপি ছাড়াতো কলকাতার স্ট্রিট ফুড অসুম্পূর্ণ। ছোট্ট ছোট্ট গরম গরম টেস্টি ক্লাব কচুরি তরকারির সঙ্গে , গরম জিলিপি যেন একেবারে পারফেক্ট ম্যাচ । তবে এপ্রসঙ্গে, গাঙ্গুরাম এর কচুরি এবং রাধাবল্লবীকেও ভুলে যাওয়া চলবে না।
বরদান মার্কেটের চিল্লা, ডাল পাকৌড়ি এবং আলু টিক্কি খেলে সব কষ্ট ভূলে যাওয়া যায়। বাঙালি খাবার না হয়েও যেন বাঙালি খাবার হয়ে গেছে এই চিল্লা এবং ডাল পাকৌড়ি। এর সঙ্গে দান মার্কেটের আলুর টিকিয়া এবং তার সঙ্গে বিভিন্ন রকমের চাট আছেই, সেটাও এ শহরে বিখ্যাত।
শহরের স্ট্রিট ফুডে ইদানিং কালে মিষ্টি একটু কম দেখা গেলেও যারা এখনও ফেরি করে বেড়ান কিংবা বড় ডেচকি কাঁচে ঢেকে রাস্তায় দাড়িয়ে বিক্রি করেন তাঁদের মিষ্টির স্বাদ মোটে কম যায় না কলকাতার বিখ্যাত দোকান গুলির থেকেও। এখনও বড় বাজার, চাঁদনি মার্কেট এই সব এলাকায় দুপুরে মিঠাইওয়ালা আসেই। কারো হাতে ব্রিফকেস স্টাইলের কাঁচ দেওয়া মিস্টির বাক্স আবার কারও কাছে অ্যালুমিনিয়ামে ডিব্বা। তাই বাজার মন্দা গেলেও সবেতেই পরিণত হাতের ছোঁওয়ায় মিষ্টির স্বাদে কিছুক্ষণ ভূলে থাকেন বড় বাজারের ব্য়াবসায়ীরা।