'ফলস নেগেটিভ'-র দিন শেষ, উপসর্গ থাকলেই আরটি-পিসিআর বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় প্রত্য়েকদিনই রেকর্ড ভাঙছে। অত্যাধিক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হয়ে করোনা পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফের পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র।
সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পাঠানো একটি নির্দেশিকায় আইসিএমআর অর্থাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশির উপসর্গ রয়েছে অথচ র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক ভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
উল্লেখ্য, দ্রুত ও কম খরচে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা গেলেও রিপোর্ট আসছে 'ফলস নেগেটিভ'। অর্থাৎ জ্বর, সর্দি কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই এমন বলা হয়। এমনটাই জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল। এর ফল হচ্ছে মারাত্মক। স্বাস্থ্যকর্তাদের অনুমান, ওই ফলস নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে যাদের একটি বড় অংশই আসলে সংক্রমিত। এদিকে নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় তাঁরা অজান্তেই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
সংক্রমণের হার কম হলেও, সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমতো চিন্তায় কেন্দ্র। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, অবিলম্বে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা না কমানো হলে বিপদজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তাই নিজেদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে বদল এনে উপসর্গ রয়েছে অথচ অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ ব্যক্তিদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ভাবে করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ব্যাখ্যা, বেশ কিছু রাজ্য এই পদ্ধতি মেনে চলছে না। অনেক রাজ্যই আরটি-পিসিআর পরীক্ষার প্রশ্নে গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। যার ফলে সেই রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে।
দেশ জুড়ে লকডাউন উঠে পরিবহন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে পড়ায় এক রাজ্যের সংক্রমণের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে অন্য প্রান্তে। তাই পরীক্ষার প্রশ্নে ওই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, আশা করা হয় এতে দ্রুত সংক্রমণ চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।